চিটাগাং চেম্বারের সাথে নেদারল্যান্ডস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সভা
দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সাথে নেদারল্যান্ডস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন। এ সময় ব্রাসেলস মিশনের উপ প্রধান ও মিনিস্টার-পলিটিক্যাল ফায়াজ মুরশিদ কাজী, চেম্বার পরিচালকবৃন্দ এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, এস. এম. আবু তৈয়ব, অঞ্জন শেখর দাশ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, মো. আবদুল মান্নান সোহেল, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর ও সাকিফ আহমেদ সালাম, নেদারল্যান্ডস’র বাংলাদেশী ব্যবসায়ী আশরাফুল হুদা ও লিটন, চেম্বার সেক্রেটারি ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুক এবং বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স’র সিইও মো. ওয়াসফি তামিম অংশগ্রহণ করেন। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, নেদারল্যান্ড কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে গ্লোবাল লিডার। বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ড দূতাবাসের সাথে চিটাগাং চেম্বারের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মিরসরাই ইকনোমিক জোনসহ চট্টগ্রামের ভৌগোলিক সুবিধা উল্লেখপূর্বক বাস্তবায়নাধীন ১০০টি ইকনোমিক জোনে বিনিয়োগ আকর্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
চেম্বার সভাপতি সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম এবং লুক্সেমবার্গের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের জন্য একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব করেন যাতে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।
রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ডাচ্ ব্যবসায়ীরা জ্ঞাননির্ভর শিল্প যেমন উদ্ভাবন, পদ্ধতি ও প্রক্রিয়াগত উন্নয়ন, প্রযুক্তি, সৃষ্টিশীল অর্থায়ন প্রকল্প ইত্যাদিতে বিনিয়োগে ইচ্ছুক। আধুনিক সমাধানের মাধ্যমে শিল্পায়নের অগ্রগতিতে ত্বরান্বিত করতে তাঁরা অত্যন্ত আগ্রহী। ডাচ্ বিনিয়োগকারীরা টেকনিক্যাল ক্ষেত্রে বিশেষ করে ছোট কিন্তু জটিল পদ্ধতিগত উন্নয়ন, আইসিটি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কম্পোন্যান্ট ম্যানুফেকচারিং ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করতে চায়। তাই বিনিয়োগ আকর্ষণে আমাদের উপস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন জরুরি। এক্ষেত্রে যৌথ বিনিয়োগ ও সহায়তার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগ প্রস্তাব তৈরি করতে হবে। ডাচ্রা নির্ভরযোগ্য ব্যবসায়িক অংশীদার চান। বাংলাদেশে বিনিয়োগ সুরক্ষা এবং মেধাসত্ত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ কতটা প্রাধান্য পায় সে ব্যাপারে তাঁরা অনেক বেশি সংবেদনশীল। ফায়াজ মুরশিদ কাজী বলেন, বর্তমান বিশ্ব মহামারীর প্রেক্ষাপটে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জলবায়ু পরিবর্তন, সংরক্ষণ এবং পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে যা তাদের ভবিষ্যৎ অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং টেকসই সার্কুলার ইকনোমি সৃষ্টিকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
চেম্বার পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে চিটাগাং চেম্বার।
আলোচনাকালে বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স’র কর্মকা- সম্পর্কে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন সিইও মো. ওয়াসফি তামিম। বিজ্ঞপ্তি