চালের দাম বাড়ার যুক্তি দেখছেন না বাণিজ্য উপদেষ্টা

ঢাকার তেজগঁাওয়ে নতুন স্মার্ট কার্ডের (পরিবার কার্ড) মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন

সুপ্রভাত ডেস্ক  »

উৎপাদন পর্যায় এবং সরকারের গুদামে পর্যাপ্ত চাল থাকার পরও মজুদদারির কারণে চালের বাজার ‘অস্থিতিশীল’ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। সরকারের নিজস্ব যে মজুদ, সেখানেও ঘাটতি নেই, স্থানীয় উৎপাদনেও তেমন ঘাটতি নেই। কারণ আমরা আমনের ভরা মৌসুম পার করছি।

‘এই মুহূর্তে বাজারে মূল্যস্ফিতির কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ আমরা দেখছি না। আশা করি কিছু দিনের মধ্যে এটা নেমে আসবে।’

বুধবার ( ৮ জানুয়ারি ) ঢাকার তেজগাঁওয়ে নতুন স্মার্ট কার্ডের (পরিবার কার্ড) মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা।

এ সময় তিনি বলেন, ‘ভোক্তা পর্যায়ে বিশেষ করে নাজিরশাইল ও মিনিকেট, এই দুটি চালের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা লেভেলে যে ধরনের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তার থেকে পাইকারি লেভেলে দামের বৃদ্ধিটা অনেক বেশি।’ খবর বিডিনিউজ।

আমনের ভরা মৌসুমে বাজারে নতুন চালের ভালো সরবরাহ থাকলেও দাম উল্টো বাড়ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবে, এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেড়েছে। আর মাঝারি মানের চালের দাম কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে।

এই দাম বৃদ্ধি ‘অযৌক্তিক’ মন্তব্য করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যেটা করতে হবে, সেটা হলো, আমদানির ‘উদারীকরণ’। আমরা আলুর ক্ষেত্রে উদারীকরণ করেছি, তখন আলুর দাম ব্যাপকভাবে নেমে এসেছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, একটা সাময়িক মজুতদারির ঘটনা ঘটছে।’

বাজার ‘উদারীকরণ’ বিষয়ে ইতোমধ্যে একাধিক সভা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাজারের সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার জন্য আপাতত আমদানিকেন্দ্রিক ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং ব্যাপক আমদানির প্রস্তুতি চলছে। এই আমদানির ব্যাপকতার ফলে, আমাদের ধারণা, স্থানীয় বাজারে মূল্য হ্রাস ঘটবে।’

বিগত সরকারের মেয়াদে টিসিবির কার্ড নিয়ে ‘অনেক নৈরাজ্য ও দুর্বৃত্তায়ন’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিতরণ শুরুর ফলে কাগজের কার্ডের ব্যবস্থা বাতিল হল জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ৬৩ লাখ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৩৫ থেকে ৪০ লাখ কার্ড দেওয়া যাবে।

কার্ডধারী একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং চিনি ৭০ টাকায় বিক্রি করা হবে।