নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে চার হাজার অতিক্রম করলো করোনা আক্রান্ত । গতকাল ১০৬ জন আক্রান্ত হওয়ায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চার হাজার ৭১ জনে গিয়ে ঠেকলো। গত ৩ এপ্রিল প্রথম আক্রানেত্মর পর দুই মাসে চার হাজার পার করলো করোনা রোগী। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবের ৬১৬টি নমুনার মধ্যে ১০৬টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ১০৬ করোনা রোগীর মধ্যে নগরীতে ৫৫ জন ও নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলার ৫১ জন। এদিকে নতুন করে ১০৬ জন শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪,০৭১ জন, এদের মধ্যে সুস’ হয়ে বাড়ি গেছে ২৬৭ জন এবং মারা গিয়েছে ৯৫ জন।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৮৭টি নমুনার মধ্যে ৪২টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ৪২ জনের মধ্যে ১৪ জন মহানগরীর এবং ২৮ জন বিভিন্ন উপজেলার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৫১টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ৪১ জনের, পজিটিভ হওয়া সকলে নগরীর বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৮টি নমুনার মধ্যে ২০ জন পজিটিভ এবং এরা সকলে উপজেলার বাসিন্দা। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩০ জনের নমুনায় তিন জনের করোনা পজিটিভ হয়েছেন এবং তিনজনই বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
এদিকে উপজেলার ৫১ জনের মধ্যে- সাতকানিয়ার ১১ জন, আনোয়ারার দুই জন, চন্দনাইশের তিনজন, পটিয়ার ১৭ জন, রাঙ্গুনিয়ার তিনজন, রাউজানের ৯ জন ও সীতাকুন্ডের ৬ জন।
এদিকে গতকাল রোববার নতুন করে ১০৬ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৪,০৭১ জন। এর আগে৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রানত্ম হয়েছিল।