সুপ্রভাত ডেস্ক :
চলতি লবণ মৌসুমে ২৮ হাজার ৭৯১ জন লবণ চাষী ৫৭ হাজার ৭২২ একর জমিতে লবণ চাষ করছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন শিল্পখাতের ন্যায় লবণ শিল্পখাতও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
লবণ চাষিদেরকে কৃষিপণ্যের আওতায় রেয়াতি সুবিধায় সহজ শর্তে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ প্রদানের জন্য কক্সবাজারের অবস্থিত সাতটি ব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বিসিক। সম্প্রতি কক্সবাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয় থেকে এ চিঠি দেয়া হয়েছে।
ব্যাংকগুলো হচ্ছে -কক্সবাজারে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক লি:, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লি:, অগ্রনী ব্যাংক লি:, জনতা ব্যাংক লি:, রুপালী ব্যাংক লি:, বেসিক ব্যাংক এবং কর্মসংস্থান ব্যাংক।
বিসিক লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমানের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, চলতি লবণ মৌসুমে ২৮ হাজার ৭৯১ জন লবণ চাষী ৫৭ হাজার ৭২২ একর জমিতে লবণ চাষ করছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন শিল্পখাতের ন্যায় লবণ শিল্পখাতও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
সারাদেশে লকডাউনের কারণে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনায় ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে লবণ উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। ফলে প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপাদন হলেও চাষিরা এর উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছে না। বর্তমানে লবণের মুল্য উৎপাদন খরচের প্রায় অর্ধেক। এতে করে দেশীয় কৃষিভিত্তিক লবণ শিল্প মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে দেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে লবণ চাষীদেরকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে। এতে লবণ চাষকে একটি উপখাত হিসেবেও দেখানো হয়েছে।
সামগ্রিক বিবেচনায় সরকার প্রদত্ত সুদ ক্ষতি পুনর্ভরণ করে লবণ চাষীদের জন্য রেয়াতি সুবিধায় ৪ শতাংশ সুদহারে ঋণ প্রদানের সুযোগ রয়েছে।
এ নীতিমালার আলোকে এবং করোনার প্রভাবে সৃষ্ট শিল্পখাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদন প্যাকেজের আওতায় লবণ চাষিদেরকে এই ঋণ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কক্সবাজার শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপকদের প্রতি বিসিকের পক্ষ থেকে এই অনুরোধ জানানো হয়।