সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
জিতলেই চ্যাম্পিয়ন-এই সমীকরণ নিয়ে নামা বসুন্ধরা কিংস আধিপত্য করল ম্যাচজুড়ে। তাদের প্রতিটি গোলের উদযাপনেও মিশে থাকল উৎসবের রং। শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে হারিয়ে কিংস লিগ শিরোপা জিতে নিল চার ম্যাচ হাতে রেখেই!
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার ২-০ গোলে জেতা কিংস ২০ ম্যাচে ১৮ জয় ও এক ড্রয়ে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে। অস্কার ব্রুসনের দলের জয়ের নায়ক দুই ব্রাজিলিয়ান রবসন দি সিলভা রবিনিয়ো ও জোনাথন দি সিলভেইরা ফের্নান্দেস।
এক ম্যাচ কম খেলা শেখ জামাল ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। লিগের রানার্সআপ হওয়ার লড়াইটা মূলত তাদের সঙ্গে চলছে আবাহনী লিমিটেডের। আরামবাগের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ১৯ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে তারা।
এ নিয়ে তিন মৌসুমে দ্বিতীয় লিগ শিরোপা জিতল কিংস। ২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রথম সেরা হয়েছিল তারা। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ছোবলে অবশ্য ২০২০-২১ মৌসুমের লিগ শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়।
আগে-ভাগে লিগ জিতে নেওয়ায় আরেকটি লাভও হলো কিংসের। আগামী ১৮ অগাস্ট এএফসি কাপ মিশন শুরু করবে তারা। ফলে খেলোয়াড়দের একটু বিশ্রাম দেওয়ার এবং একই সঙ্গে এএফসি কাপের পরিকল্পনা সাজানোর সময় পাচ্ছেন কিংস কোচ।
ম্যাচের তিন ঘণ্টা আগে কোচ শফিকুল ইসলাম মানিককে ছাঁটাই করে বসে শেখ জামাল। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে কোচকে হারানো খেলোয়াড়রা খুব একটা মেলে ধরতে পারেননি নিজেদের।
এক পশলা বৃষ্টিতে ভেজা মাঠে শুরু হওয়া ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে সুলাইমান সিল্লাহর হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর শেখ জামাল ছিল নিজেদের ছায়া হয়ে। তবে রক্ষণ মোটামুটি জমাট রেখেছিল তারা।
সপ্তম মিনিটে রাউল অস্কার বেসেরার সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে মাহবুবুর রহমান সুফিল বাইলাইনের একটু ওপর থেকে কাটব্যাক করেছিলেন। বক্সের মাঝামাঝি থেকে পোস্টের বাইরে মারেন কিংসের মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ।
২১তম মিনিটে রবিনিয়োর দৃষ্টিনন্দন গোলে এগিয়ে যায় কিংস। ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ ফের্নান্দেসের থ্রু পাস ধরে ঠাণ্ডা মাথায় ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন। লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা রবিনিয়োর গোল হলো ১৯টি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে মুনির হোসেনের ক্রসে সিল্লাহর হেড ক্রসবার কাঁপায়। সলোমন কিংয়ের ফিরতি শট যায় পোস্টের বাইরে।
দ্বিতীয়ার্ধেও দৃশ্যপটে বদল আনতে পারেনি শেখ জামাল। বরং ৬২তম মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক উপর থেকে ফের্নান্দেসের বুলেট গতির শট গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম মাসুমকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ালে ম্যাচের ভাগ্য চলে যায় কিংসের মুঠোয়।
গোল উৎসব করে শিরোপা উপযাপনে মাততে পারত কিংস। কিন্তু বদলি ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া ৭৫তম মিনিটে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন। আট মিনিট পর ইমন বাবুর শট ক্রসবার কাঁপালে তা হয়নি। কিন্তু তাতে কিংসের উৎসবে ভাটা পড়েনি একটুও।