নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া »
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় জনপদের ইউনিয়ন বদরখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে চার বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পুকপুকুরিয়া এলাকায় বসতবাড়ির চুল্লি থেকে ঘটেছে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা। এতে চার বসতবাড়ির মালামাল ভস্মীভূত হয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরে হোছাইন আরিফ।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ বলেন, শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে বদরখালী ইউনিয়নের পশ্চিম পুকপুকুরিয়া এলাকায় মৃত মোজাহের আহমদের ছেলে আবদুল কাদের এর বসতবাড়িতে অগ্নিকা-ের সুত্রপাত ঘটে। মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখা পাশের বাসিন্দা মৃত নুরুল আমিনের তিন ছেলে মোহাম্মদ ইয়াছিন, মোহাম্মদ এরশাদ ও সোহেল মিয়ার বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। পাশাপাশি চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেন। ততক্ষণে আগুনে চারটি বাড়ির মালামাল ভস্মীভূত হয়ে যায়। পরে দমকল বাহিনীর পানিবাহি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলে আশপাশের একাধিক বসতবাড়ি অগ্নিকা-ের কবল থেকে রক্ষা পান।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ বলেন, অগ্নিকা-ের ঘটনায় চার বসতবাড়ির মালামাল পুড়ে গিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ানকে জানানো হলে তিনি (ইউএনও) উপজেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ১৮টি কম্বল, ৬ কার্টুন কাপড়, বেশকিছু শুকনো খাবার ও সয়াবিন তেল সহায়তা হিসেবে দিয়েছেন।
এছাড়া অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল গিয়ে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে চার পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। সহায় সম্ভল হারিয়ে বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। আমি পরিবারগুলোর পাশে এগিয়ে আসার জন্য কক্সবাজার ১ আসনের সংসদ সদস্য ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, অগ্নিকাণ্ডে বদরখালীতে চার পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়ায় বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রশাসন থেকে বেশকিছু ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কাছে অবহিত করা হবে, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে আরো সহায়তা করা সম্ভব হয়।