সুপ্রভাত ডেস্ক :
কঠিন অসুখের শিকার হয়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন। সেই সময়টা রীতিমত ট্রমার মধ্য দিয়ে কাটিয়ে ছিলেন তিনি। ইউটিউব এর একটি ভিডিওতে সুস্মিতা নিজেই জানিয়েছেন এ কথা।
অ্যাডিশন’স ডিজিজ নামে অটো ইমিউন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুস্মিতা। নানচাকু ওয়ার্কআউট এর মাধ্যমে সুস্মিতা নিজেকে সুস্থ করেছিলেন। নান চাকু হলো মার্শাল আর্টের একটি যন্ত্র। দুটি রডের সঙ্গে একটি চেন যুক্ত করা থাকে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে ওয়ার্কআউট করেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী।
ভিডিওতে সুস্মিতা বলছেন, ২০১৪ সালে অ্যাডিশন’স ডিজিজে আক্রান্ত হই আমি। সারাদিন ক্লান্তি বোধ করতাম। অসুখের সঙ্গে লড়াই করারও কোনো শক্তি ছিল না। সারাদিন অবসাদগ্রস্ত হয়ে থাকতাম। চোখের তলায় কালি পড়ে গিয়েছিল। চার বছর এরকম অসুস্থ তার মধ্যেই জীবন কেটেছিল। সেই সময় শক্তিশালী স্টেরয়েড নিতে হতো যার ছিল নানা রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। বিরাট অসুস্থতার সঙ্গে বেঁচে থাকার মতন ক্লান্তিকর বোধহয় কিছুই হয় না।
কিন্তু তখনই আমি নিজেকে বোঝাই যে আমায় লড়তে হবে। যথেষ্ট হয়েছে। আমি তখন নানচাকু মেডিটেশন শুরু করি। সুস্মিতা জানাচ্ছেন তার মধ্যে যে অবসাদ আগ্রাসন চাপা ছিল তা এই নানচাকু ওয়ার্কআউট এর মাধ্যমে তিনি বের করেছিলেন। তিনি যে স্টেরয়েড নিচ্ছিলেন তাতে তার চুল উঠছিল এবং ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
এরপরে এই ওয়র্কআউট এর মাধ্যমেই আবার তার অ্যাড্রিনালিন হরমোন কাজ করতে শুরু করে এবং আস্তে আস্তে সুস্থ তার দিকে ফিরতে শুরু করেন সুস্মিতা। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে একজন করে যোদ্ধা রয়েছে। তাই কখনো হাল ছাড়া উচিত না। আমরা নিজেরাই নিজেদের স্বাস্থ্যকে সবথেকে ভালো করে চিনি।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
বিনোদন