সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »
পাকিস্তানের ৪৪৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ এখনও বড় ব্যবধানে পিছিয়ে, কিন্তু চার ফিফটিতে তারা শক্ত জবাব দিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তানের ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে ইনিংস ঘোষণার পর ১২ ওভারে ২৭ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করা বাংলাদেশ দলের সামনে ছিল বড় রান যোগ করার সুবর্ণ সুযোগ। সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হকের পর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ফিফটির সৌজন্যে বাংলাদেশ তা করেছেও। ৯২ ওভারে ৫ উইকেটে ৩১৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ১৩২ রান পিছিয়ে নাজমুল হোসেনের দল।
তৃতীয় সেশনে লিটন ও মুশফিক দুজনেই সাবলীল ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন। ১১৮ বলে ৯৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শনিবার চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন তারা। মুশফিক ৫৫ ও লিটন ৫২ রানে অপরাজিত আছেন।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে লিটনের হাফ সেঞ্চুরি
ওয়ানডে মেজাজেই খেলছিলেন লিটন দাস। নাসিম শাহ নিজের ১৯তম ওভার শুরুর আগে ৪৭ বলে ৩২ রানে ব্যাটিং করছিলেন লিটন। নাসিমের করা এই ওভারেই নিজের ইনিংসের গিয়ার বদলে ফেলেন লিটন।
৮৯তম ওভারের প্রথম দুটি বলে চার মারলেন লিটন দাস। তৃতীয় বল ডট। পরের বলে মিডউইকেট দিয়ে বিশাল এক ছক্কা মারলেন তিনি। স্টেডিয়ামের বাইরে পড়লো বল, বাংলাদেশের স্কোর তিনশ পার হলো। পরের বলে আরেকটি চার মারলেন, হয়ে গেলো হাফ সেঞ্চুরি। ৫২ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ১৭তম টেস্ট ফিফটি করলেন লিটন। ৮৯ ওভারে সফরকারীদের স্কোর ৫ উইকেটে ৩০৬ হলো।
মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি
সাদমান ইসলাম, সাকিব আল হাসানরা ফেরার পর ক্রিজে বাংলাদেশের আস্থার প্রতীক হয়ে রান তুলছেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় দিন শেষ সেশনে ৮৭তম ওভারে শাহীন আফ্রিদিকে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ১০৫ বলে ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি করেন এই ব্যাটার। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজারের মাইলফলক ছুঁলেন মুশফিকুর রহিম।
মুশফিকের সঙ্গে ক্রিজে আছেন লিটন দাস। দুজনের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছে সফরকারীরা। দলের ২১৮ রানে সাকিব আল হাসান বিদায় নিলে তারা ক্রিজে একত্রিত হন।
ফিফটির পর আউট মুমিনুল
শেহজাদের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটি পান বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। তবে ফিফটির পর আর এগোতে পারেননি তিনি। শেহজাদের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে শেষ মুহূর্তে ব্যাট নামিয়ে আনলেও বিপদ ঠেকাতে পারেননি, হয়েছেন বোল্ড। ভেঙেছে সাদমানের সঙ্গে ৯৪ রানের জুটি।
সাদমানের ফিফটি
প্রথম সেশনের শেষ বলে গিয়ে ফিফটির দেখা পেয়েছেন সাদমান, ১২৩ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। ২০২২ সালের পর প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই ফিফটির দেখা পেলেন এ বাঁহাতি ওপেনার। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ মুহূর্তে পারলেন না সাদমান ইসলাম। মোহাম্মদ আলীর বলে বোল্ড ৯৩ রানে।
আলীর ভেতরের দিকে আসা বল লেগে পুশ করতে চেয়েছিলেন সাদমান। তাতেই ইনিংস থেমে গেল নার্ভাস নাইনটিজে। ১৮৩ বল খেলে ৯৩ রান করেছেন ১২ চারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রথম ইনিংস
পাকিস্তান ১১৩ ওভারে ৪৪৮/৬ ডিক্লে. (শাহীন ২৮*, মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৭১*, আগা সালমান ১৯, সৌদ শাকিল ১৪১, সাইম আইয়ুব ৫৬; শফিক ২, শান মাসুদ ৬, বাবর ০)
বাংলাদেশ ৯২ ওভারে ৩১৬/৫ (মুশফিক ৫৫*; লিটন ৫২*, জাকির ১২, শান্ত ১৬, মুমিনুল ৫০, সাদমান ৯৩, সাকিব ১৫)