ভোক্তা অধিকারের অভিযান
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজেদের মনগড়া পোশাকের দাম নির্ধারণ করে বিক্রি, আমদানি তথ্য, ক্রয়-বিক্রয় রশিদ দিতে না পারার দায়ে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে মিমি সুপার মার্কেটের দুই প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা এবং খাবারে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার ও ভেজাল খাবার বিক্রির দায়ে দুই নম্বর গেইটের আরও দুই প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকাসহ মোট চার প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গতকাল রোববার দুপুর ১১টায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে বিদেশি পণ্য হলেও পণ্যের গায়ে আমদানিকারকের কোনো সিল, কাপড়ের ক্ষেত্রে আমদানির কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি মিমি সুপার মার্কেটের বিক্রেতারা। শপিংমলে অভিযান শেষে নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকায় খাবারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় খাবারের প্রতিষ্ঠানে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো, বাসি খাবার ও ময়লাযুক্ত পরিবেশ পাওয়াতে রাজবাড়ি রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা ও জান্নাত রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ জানান, মিমি সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের কসমেটিকস বিক্রি করলেও প্রকৃতপক্ষে তারা কোন ধরনের আমদানি তথ্য, ক্রয়-বিক্রয় রশিদ দেখাতে না পারায় সেফওয়ে কসমেটিকসকে ৩০ হাজার ও মনি শাড়ীজকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে দুই নম্বর গেইটের রাজবাড়ি রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা যায়, তারা শিল্প কারখানার ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান খাবারে ব্যবহার করছে। যার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ টাকা এবং ময়লা বাসি খাবার বিক্রির দায়ে জান্নাত রেস্টুরেন্ট নামের আরেক খাবারের প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। জনস্বার্থে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।