দোকান কর্মচারী রাসেল হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে দোকান কর্মচারী রমজান আলী রাসেল খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ আবেদন করলে ওই চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালত। এর আগে গত সোমবার রাসেলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দোকান মালিক আরাফাত, কর্মচারী জসিম, ইউনুচ ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোকান মালিক আরাফাত এবং তার দোকানের কর্মচারী ইউনুচ ও জাহাঙ্গীরের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া জসিমের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
বিষয়টি গতকাল বিকালে সুপ্রভাতকে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান।
গত সোমবার বিকালে রিয়াজউদ্দিন বাজারের দোকান থেকে দুধের প্যাকেট চুরির অভিযোগ তুলে রমজান আলী রাসেলকে তার বাসা থেকে ডেকে এনে মা বাবার সামনেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় জড়িত দোকান মালিক আরাফাতের আরও দুই ভাই আরমান ও হাসান পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।
নিহত রাসেল মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন নগরের আইস ফ্যাক্টরি রোডের ভাড়াবাসায়। তার বাবা দিনমজুর আফাজ উদ্দিন। রাসেল ছিলেন তার একমাত্র সন্তান। রাসেল কাজ করতেন রিয়াজউদ্দিন বাজারের আরাফাত স্টোরে। পুত্রকে খুনের ঘটনায় দোকান মালিক আরাফাত, আরমান ও হাসানসহ ৬ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রাসেলের বাবা আফাজ উদ্দিন। তার (বাদি) দাবি, মালিকের অবৈধ ব্যবসার কথা জেনে যাওয়ায় চুরির মিথ্যা অভিযোগে তার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ‘আমার ছেলে কিছুদিন আগে বলেছিল, আরাফাত স্টোরে আর কাজ করবে না। সেখানে অবৈধ ব্যবসাপাতি হয়। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই’- বলেন দিনমজুর আফাজ উদ্দিন।