নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় গত সোমবার সংঘটিত জোড়াখুনের ঘটনায় পলাতক রংমিস্ত্রি ফারুককে সন্দেহ করা হচ্ছে। মা–ছেলের লাশ উদ্ধারের পর ওইদিন দিবাগত রাত দশটার দিকে রংমিস্ত্রি ফারুক এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন ভিকটেমের মেয়ে পোশাকশ্রমিক ময়ূরী।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দিনের বেলার যেকোনো সময় চান্দগাঁও থানার রমজান আলী সেরেস্তাদার বাড়িতে গুলনাহার বেগম (৩৩) ও তার ছেলে রিফাতকে (৯) ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়। রাতে কারখানা থেকে ফিরে ময়ূরী তার মায়ের মৃতদেহ বাথরুমে এবং রিফাতের মৃতদেহ রান্নাঘরে দেখতে পান। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মা–ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে মামলার আসামি ফারুক। ফারুক ভিকটিম গুলনাহারের বাসায় ‘পেয়িংগেস্ট’ হিসেবে থাকতো।
গতকাল সন্ধ্যায় চান্দগাঁও থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার সুপ্রভাতকে জানান, মা–ছেলে হত্যার ঘটনায় ফারুককে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। রংমিস্ত্রি ফারুক গ্রেফতার হলে মিলবে জোড়াখুনের রহস্য। নিহত গুলনাহার হোটেল ও বাসায় রান্নাবান্নার কাজ করতেন। তার তৈরি করা খাবার রংমিস্ত্রি ফারুককে দিয়ে বাইরে বিক্রি করতেন।
বাসার মালিক মহিউদ্দিন পুলিশকে জানান, স্বামী পরিত্যক্ত গুলনাহার গত ফেব্রুয়ারি মাসে সাত হাজার টাকায় বাসাটি ভাড়া নেন। ওই বাসায় গুলনাহার, তার মেয়ে ময়ূরী ও ছেলে রিফাত ছাড়াও ফারুক থাকতো। গুলনাহার ফারুককে ভাই বলে পরিচয় দিতেন।