দশ টন ময়লা আবর্জনা অপসারণ
নগরীর চান্দগাঁও ফরিদারপাড়া তালতলা সংলগ্ন খাল থেকে শুক্রবার সকালে প্রায় ১০টন ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সকালে ওই এলাকার খাল পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি পুরো এলাকা হেঁটে ঘুরে দেখে নাগরিক সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি এর সমাধানে এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন।
খাল পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে দেখা যায় বহুতল দালানের পাশে খালে ময়লা-আবর্জনা, পলিথিন, প্লাস্টিকের পণ্য ও কাঁচা সবজির উচ্ছিষ্ট ফেলা হয়েছে।
প্রশাসক এসব ময়লা-আবর্জনা দেখে বলেন, এই এলাকার বাসিন্দারা বহুতল ভবনে অভিজাত জীবনযাপন করছেন। অথচ তাদের বসবাসের স্থান ভবনের পাশে খালে ফেলেছেন ঘরের গৃহস্থালি বর্জ্য। এসব ময়লা আবর্জনার স্তুপ হচ্ছে মশার প্রজনন ক্ষেত্র। আর মশার বংশবিস্তারের জন্য এই নাগরিক অসেচতনতা দায়ী। এভাবে আবর্জনা ফেললে মশার উৎপাত বাড়বে। কর্পোরেশন কালো তেল বা এডাল্টিসাইড স্প্রে ও ফগার মেশিনে ওষুধ ছিটিয়ে সাময়িক স্বস্তি দিতে পারবে। কিন্তু স্থায়ী সমাধান হলো নগরবাসীর নিজে নিজের আশপাশ পরিষ্কার রাখা।
আবারো যদি অসচেতন করে কর্পোরেশনের অনুরোধে সাড়া না দিয়ে, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলেন তাহলে অভিযুক্ত খালের পাশের এলাকার বাসিন্দাদের নিজ খরচে তা পরিষ্কারের পাশাপাশি জরিমানা করা হবে।
প্রশাসক বলেন, মানুষের দৈহিক সৌন্দর্র্য মুখ্য নয়, আসল হলো মনের সৌন্দর্য। যে সমস্ত লোক নিজের ভবনের বারান্দা দিয়ে খালে-নালায় আবর্জনা ফেলেন তাদের মধ্যে নাগরিক সচেতনতা গড়ে উঠেছে কিনা সন্দেহ আছে! এ ধরনের লোক নগরে বসবাসের অযোগ্য।
তিনি বলেন, কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন সেবক-সুপারভাইজাররা কাক ডাকা ভোরে তীব্র শীত উপেক্ষা করে নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার ও রাস্তা ঝাড়ু দিবে, আর কিছু লোক তাদের ইচ্ছামাফিক যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবে এটা হতে পারে না। এ ধরনের কার্যক্রম করা বেআইনী। আশাকরি নগরবাসী প্রিয় চট্টগ্রাম নগরীকে সুন্দর ও পরিবেশ-বান্ধব এবং মানবিক শহরে পরিণত করতে কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসবেন।
পরে প্রশাসক এলাকার বসিন্দাদের মাঝে করোনা সচেতনতায় মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন। এসময় তিনি বহদ্দারহাট মোড়ে রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকা টেম্পো, রাইডার, রিকশা ও অন্যান্য যানবানগুলোকে সরিয়ে দিয়ে রাস্তার একপাশে রাখতে বলেন, যাতে যানজট সৃষ্টি না হয়। এ সময় নিজাম উদ্দীন নিজু, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু, শওকত হোসেন, গোলাম মহিউদ্দীন বাবুল, গোলাম আয়াছ, শহিদুল আলম, লুৎফে আজিম রেনেসাঁ ও সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রশাসকের সাথে ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি