সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রামের চাক্তাই খালে পড়ে দুই শিশু নিখোঁজ হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে দুই শিশু নিখোঁজের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
এরপর ফায়ার সার্ভিসের লামারবাজার স্টেশনের একটি ইউনিট ও আগ্রাবাদ ফায়ার ইউনিটের ডুবুরি দল ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তবে শিশুর নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অভিভাবক কিংবা স্থানীয় কোনো দাবিদারও ঘটনাস্থলে আসেননি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শিশু নিখোঁজের খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানার নতুন নতুন ফিশারিঘাট সংলগ্ন চাক্তাই খালে তল্লাশি শুরু করেন ডুবুরিরা।
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের লামারবাজার স্টেশনের ডুবুরি লিডার আফজাল খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দুই শিশু নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা এখানে আসি। প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেছেন, প্রথমে এক শিশু গোসল করতে খালে নামে। তখন খালে জোয়ার আসতে শুরু করে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাবার সময় সে বাঁচানোর আকুতি জানায়। তার সঙ্গে থাকা আরেক শিশু তাকে বাঁচাতে খালে ঝাঁপ দেয়। দুজনেই তলিয়ে গেছে বলে একজন মাছ বিক্রেতা দেখেছেন বলে আমাদের জানান।’
‘চার ঘণ্টারও বেশিসময় ধরে আমরা এখানে তল্লাশি চালাচ্ছি। কেউ তাদের সন্তান কিংবা স্বজন নিখোঁজ দাবি করে এখানে আসেননি। এরপরও আমরা দুই শিশু নিখোঁজ ধরে নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছি। তবে জোয়ারের কারণে তল্লাশি সেভাবে হচ্ছে না। ভাটা নামলে তখন বোঝা যাবে, আসলেই কেউ পানিতে তলিয়ে গেছে কি না,’ – বলেন আফজাল খান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে বাহাদুর নামে স্থানীয় এক মাছ বিক্রেতা বলেন, ‘বিকেল চারটার দিকে আমরা দুজন নদীতে গোসল করছিলাম। এসময় দুই মহিলা আমাদের একটি শিশু পানিতে ডুবে যাচ্ছে বলে জানায়। আমরা গিয়ে পানিতে নেমে শিশুটিকে পানি থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করি। কিন্তু পানির টানের কারণে তাকে তুলে আনতে পারিনি।’
স্থানীয় আরও কয়েকজনের ভাষ্য, বাহাদুর যাকে তুলে আনার চেষ্টা করেছিলেন, সে প্রথমে তলিয়ে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য খালে নেমেছিল।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব হোসাইন বলেন, ‘স্থানীয় কয়েকজন বলছেন, তারা দুই শিশুকে তলিয়ে যেতে দেখেছেন। কিন্তু কোনো অভিভাবক খুঁজে পাচ্ছি না।’