সুপ্রভাত ডেস্ক »
টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান শুক্রবার বলেন, “বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খিলক্ষেত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় হকার শাহজাহান হত্যার ঘটনায় নিউমার্কেট থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার পাপোশ বিক্রেতা শাহজাহান হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম অজ্ঞাতদের আসামি করে এ মামলা করেন।
পরে এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত বুধবার দশ দিন রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
ক্ষমতার পালাবদলের পর সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে রদবদলের ধারাবাহিকতায় গত ৬ আগস্ট জিয়াউলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল আহসান সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে তিনি র্যাব-২ এর উপঅধিনায়ক হন।
ওই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। র্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই জিয়াউল আহসান হয়ে উঠেছিলেন সংবাদমাধ্যমে পরিচিত নাম।
কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করে তাকে র্যাবেই রেখে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাঠানো হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে।
পরের বছরই এনটিএমসির পরিচালক করা হয় জিয়াউল আহসানকে। ২০২২ সালে সংস্থাটিতে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টির পর তাকেই সংস্থাটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল।