চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, করোনাকালে সকল পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা এলেও অনলাইনে পাঠদানের কার্যক্রম পরিস্থিতিগত কারণে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। অনলাইনে শিক্ষা পাঠদান কার্যক্রমটি অনেক আগে থেকেই বিশ্বজনীনভাবে স্বীকৃত। তাই প্রত্যেক শ্রেণির জন্য বিষয়ভিত্তিক নিয়মিত অনলাইন ক্লাসের গুরুত্ব সব সময় থাকবে এবং এর গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
তিনি গতকাল সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক সম্মেলন কক্ষে কুলগাঁও সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়, জামালখান কুসুম কুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বাগমনিরাম আবদুর রশীদ সিটি করপোরেশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষকদের গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি শিক্ষকদের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার নির্দেশনা দেন।
প্রশাসক বলেন, শিক্ষকরাই জাতির পথ প্রদর্শক। শিক্ষকেরা জাতি গঠনের মূল হাতিয়ার। শিক্ষার্থীদের আলোকিত ও আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার অন্যতম কারিগর হল শিক্ষকরা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানন্নোয়নে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকরা যদি সক্রিয়ভাবে কাজ করে তাহলে ঐ বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। শিক্ষকদের নিজ খরচে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ক্রয় করে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্য বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সৎ, চরিত্রবান ও ভালো মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে। ক্লাসে পাঠদানের পূর্বেই মানবিক, নৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে আলোচনা করার উপর গুরুত্বারোপ করেন প্রশাসক। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেখভাল শুধু প্রধান শিক্ষকের নয়। এ ক্ষেত্রে পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। তারা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার মান আরো উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ সময় চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেমসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর