চসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাবলম্বী হতে হবে : মেয়র

নগরীর রাস্তা-ঘাট সংস্কার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন করাই সিটি করপোরেশনের মূল কাজ। এর বাইরে চসিক ৮০টির অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫০টিরও অধিক স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে, দেশের অন্য কোন সিটি করপোরেশন এ কাজ করে না। এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করপোরেশনকে অনেক ভর্তুকি প্রদান করতে হয়। এখন আমরা ভর্তুকি দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে চাই না। তিনি প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার আহ্বান জানান।

সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী গতকাল বুধবার চসিকের বাটালি হিলস্থ সম্মেলন কক্ষে চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মেয়র আরও বলেন, নগরীতে বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে সিটি করপোরেশন। শিক্ষার্থীদের আলোকিত ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পিতা-মাতার পরে শিক্ষকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সেই লক্ষ্যে চসিকের অন্যান্য বিভাগের সাথে সঙ্গতি রেখে শিক্ষকদের সম্মানীও বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাছাড়া ভবন সংস্কার, নতুন ভবন নির্মাণ, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কর্নার, সমৃদ্ধ পাঠাগার স্থাপন করা হচ্ছে। যে কোনো মূল্যে চসিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
মেয়র আরো বলেন, ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকের সমন্বয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে নিতে হবে। শিক্ষকদের শিক্ষার মান উন্নয়নে নিজেদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো ফলাফল নিশ্চিত করা ও নৈতিকতা বোধ সম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমিক শিক্ষকদের পেশাগত পরিচিতি অর্জন করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, চসিক শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ওয়ার্ড কাউন্সিলর ড. নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কাউন্সিলর মোহাম্মদ শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব জনাব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, অধ্যক্ষ সাহেদুল কবির, মো. মোস্তফা কামাল, প্রধান শিক্ষাক সুকুমার দেবনাথ, টিংকু কুমার ভৌমিক ও কাজী খায়রুল আনোয়ার। বিজ্ঞপ্তি