চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক মহামারি করোনা সারাবিশ্বকে ল-ভ- করে দিয়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে প্রত্যেক দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতে যাচ্ছে। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে করোনা ঝুঁকি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সরকারের পাশাপাশি পাবলিক উদ্যোগে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এবং মাস্কের সুষ্ঠু ব্যবহারের পাশাপাশি সঠিক উপায়ে হাত ধোঁয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার কোনো বিকল্প নেই। ওয়াটারএইড ও ডিএসকে নগরীতে সঠিক তথ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের মধ্য দিয়ে সরকারের পাশাপাশি করোনা ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে। এ সকল স্বাস্থ্যবিধি আমাদের আচরণ পরিবর্তনের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে, নিজেকে এবং দেশকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
গতকাল বিকেলে টাইগারপাসস্থ চসিক নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে ওয়াটার এইড ও ডিএসকে’র যৌথ উদ্যোগে চসিক পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদানকালে চসিক প্রশাসক এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, করোনা মোকাবিলায় মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প কিছু নেই। তাই এর ব্যবহার নিশ্চিতে চসিক মাঠে নামবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে যে বার্তা দেওয়া হচ্ছে তা পরিবারসহ সকলের মাঝে আপনারা ছড়িয়ে দেবেন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যে কার্যক্রমের শুরু হলো, তার মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীকে এর আওতায় নিয়ে আসা হবে। অনুষ্ঠানে ডিএসকের পক্ষ থেকে চসিক পরিচ্ছন্ন বিভাগের সেবকদের জন্য ৯ হাজার ৮শ মাস্ক ও ৩ হাজার ২শ হ্যান্ড গ্লাভস প্রশাসকের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক পরিচ্ছন্ন বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান কর্মকর্তা মো. মোরশেদ আলম ডিএসকের প্রকল্প কর্মকর্তা আরেফাতুল জান্নাত, প্রজেক্ট অফিসার উজ্জল শিকদার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চসিকের পরিচ্ছন্ন সেবকদের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নিকট রোটারি ক্লাব অব চিটাগাং ডাউনটাউনের পক্ষ থেকে ৭শত পিস কটম মাক্স প্রদান করা হয়। এ সময় চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, রোটারি ক্লাবের সভাপতি রোটারিয়ান দিদারুল আলম, সহ-সভাপতি রোটারিয়ান আবুল কালাম আজাদ, সচিব রোটারিয়ান ফরহাদুল ইসলাম, রোটার্যাক্টর পিপি এরশাদ উল্লাহ বাবলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহানগর