মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও গত চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ও সরকার ভোট কারচুপি ও ভোট ডাকাতি করেছে।
তারা সিটি নির্বাচনকে নির্যাতনে পরিণত করেছে। সরকার প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশে নির্বাচনের ১ সপ্তাহ আগে থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গণগ্রেফতার করেছে। ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারে সরকার ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটারদের বাসায় বাসায় গিয়ে তল্লাশি ও হুমকি প্রদান করেছে। ভোট সেন্টার থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কোন কোন সেন্টারে এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভোটের ফলাফল ৯ ঘণ্টা বিলম্বিত করে ভোট জালিয়াতির তালিকা তৈরি করে রাতের অন্ধকারে নির্বাচন কমিশন ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেছে। কিন্তু ভোট চুরিতেও দেখা যায় গরমিল। ৩১ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশের পর দেখা যায় নির্বাচনের দিন রাত্রে ফলাফল প্রকাশের তালিকা ও গেজেটের তালিকার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। অথচ ২টি তালিকাই একই ব্যক্তি রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক সাক্ষরিত। এই জাল-জালিয়াতির কারণে আমি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি।
ডা. শাহাদাত আরো বলেন, মামলার ধার্য তারিখে ন্যায় বিচারের স্বার্থে ২টি আবেদন করেছি। একটিতে ইভিএম বিধিমালা ২০১৯ এর ২১ ধারা অনুসারে মেয়র পদের এসডি কার্ড, অডিটর কার্ড, রক্ষিত ফলাফল ও ভোটার তালিকা তলব করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের কাস্টোডিতে রাখার আবেদন জানিয়েছি। অন্যটিতে ইভিএম বিধিমালা ২০১৯ এর ১৬ ও ১৭ ধারা অনুসারে মেয়র পদের ৭৩৩টি কেন্দ্রভিত্তিক ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিটি হতে প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্ট কর্তৃক সাক্ষরিত ফলাফলের মূল কপি ট্রাইব্যুনালে রাখার আবেদন জানিয়েছি।
তিনি গতকাল রোববার দুপুরে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এসএম বদরুল আনোয়ার। বিজ্ঞপ্তি