নিজস্ব প্রতিবেদক :
এবার নভেম্বরেই বাড়বে শীতের তীব্রতা। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অনুভব হতে পারে তীব্র শীতের। গতকাল একদিনেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এই কমে যাওয়ার হার আগামীতে আরো বাড়বে। আর তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে শীতের অনুভবও বাড়বে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী গতকাল শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন (বৃহস্পতিবার) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তর পতেঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন,‘ তাপমাত্রা কমে যাওয়ার এই হার অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে বাতাসও থাকবে। আর বাতাসের কারণে কনকনে শীতের অনুভব বাড়বে।’
কবে থেকে শীতের মাত্রা বাড়বে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘ চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শীতের তীব্রতা বাড়বে। উত্তর উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসা বাতাসের সাথে নেমে আসবে শীত। ইতিমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে শীত অনুভব শুরু হয়ে গেছে।’ ইতিমধ্যে নগরীতে রাতে শীতের অনুভব যেমন বাড়ছে সকালের দিকে এবং সন্ধ্যার সময় কুয়াশার আবহ পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে দেখা যায়, গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় শ্রীমঙ্গলে ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দিনাজপুরে ১৪ দশমিক ৯, রাজশাহীতে ১৫ দশমিক ৫, টাঙ্গাইলে ১৫ দশমিক ৮, চুয়াডাঙ্গায় ১৬ দশমিক ২, যশোরে ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার একটু আগেই শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। আর এতে মনে হচ্ছে এবার শীত দীর্ঘায়িত হতে পারে। সাধারণত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে শীতের প্রভাব শুরু হলেও জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয়। দেশের শীতলতম মাসও জানুয়ারি। অনেক সময় শীত শুরু হতে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যায়। সেই হিসেবে এবার একটু আগেই শীতের আবহ শুরু হয়ে গেছে।