নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে মূল ফটকের আশপাশের এলোপাথাড়ি মোটরসাইকেল রাখতেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রোগী নিয়ে আসা স¦জনদের পড়তে হতো ভোগান্তিতে। এই সমস্যা সমাধানে নির্দিষ্ট পার্কিং শেডের ব্যবস্থা করলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে দুইশ থেকে আড়াইশ মোটরসাইকেল রাখা যাবে। যত্রতত্র মোটরসাইকেল রাখলে এবার শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পাশ ঘেঁষে করা হয়েছে এই পার্কিং শেড। অর্ধেক দেওয়াল, উপরে টিনের চাল। চালের বরাবর একটি সাইন বোর্ড ঝুলানো। সেখানে লেখা আছে- হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর স্টিকারযুক্ত মোটরসাইকেল ব্যতীত অন্যদের মোটরসাইকেল রাখা সম্পূর্ণ নিষেধ’। পার্কিং শেডে ভেতরে একটা টেবিল, দুটো চেয়ার পাতানো। শেডে সাতটা মোটরসাইকেল রাখা হয়েছে। সব গাড়িতেই স্টিকার লাগানো।
পার্কিং শেডে দায়িত্ব পালন করা মো. ইমাম হোসেন ইমন বলেন, এ শেডে দুইশ’ থেকে আড়াইশ’ মোটরসাইকেল রাখা যাবে। গত দুদিন ধরে এ শেডে গাড়ি রাখা হচ্ছে। আগে হাসপাতালের কর্মকর্তারা জরুরি বিভাগ, মূল ফটক, হাসপাতালের পেছনের বারান্দাগুলোতে মোটরসাইকেল রাখতেন। বিশেষ করে জরুরি বিভাগে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি ছিলো। এতে রোগী বহন করা অ্যাম্বুলেন্সগুলো বিপাকে পড়তে হতো। কিছু ইমার্জেন্সি রোগী আসে, তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়, দেরি হলে ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। তাই হাসপাতালের এ সব বারান্দা মোটরসাইকেলমুক্ত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গত রোববার (৭ মে) থেকে এ কার্যক্রম চালু হয়েছে। এই গাড়িগুলো রাখার জন্য তিন শিফটে তিনজন কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন।
হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী রহমত উল্লাহ বলেন, ‘নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় যততত্র গাড়ি রাখতে হতো। এখন একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার ব্যবস্থা হওয়ায় নিশ্চিন্তে অফিস করা যাচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘রোগীদের সুবিধার্থে আমরা এই সিস্টেম চালু করেছি। যাদের মোটরসাইকেল আছে তাদের স্টিকার সংগ্রহ করে লাগাতে বলা হয়েছে। দুদিন পর আমরা অভিযান পরিচালনা করবো। যাদের মোটরসাইকেল বাইরে থাকবে, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’