সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটের ছাত্র হোস্টেল থেকে মধ্যরাতে এক ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় চারুকলার দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি আন্দোলনের ফলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় পুলিশের সহায়তায় চারুকলায় অভিযান চালায় প্রক্টরিয়াল বডি।
এ সময় শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ১০৫ নাম্বার কক্ষ থেকে ইন্সটিটিউটের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া। খবর ঢাকা পোস্টের।
জানা যায়, উদ্ধারকৃত ওই ছাত্রী কোনোরূপ অনুমতি ছাড়াই ছাত্র হোস্টেলে অবস্থান করছিলেন। নিয়মানুযায়ী হোস্টেল ওয়ার্ডেনের অনুমতি ব্যতিত রাতে কিংবা দিনে কোনো সময়ই ছাত্রীরা ছাত্রদের হোস্টেলে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির ভয়েই ছাত্রীটি হোস্টলের কক্ষে প্রবেশ করেছেন বলে দাবি চারুকলার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে চারুকলা ইন্সটিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সুসময় বড়ুয়া বলেন, আমাদের এক জুনিয়র মেয়েকে রিসিভ করে তার বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের বান্ধবী হোস্টেলের সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় হুট করেই পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি প্রবেশ করে সবাইকে যার যার রুমে চলে যেতে বলেন। বান্ধবী ভয় পেয়ে সামনে যে রুমটি পেয়েছে সে রুমেই ঢুকে পড়েছে।
অভিযানে স্বল্প পরিমাণ গাঁজাও উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও, অভিযান চলাকালে বহিরাগত এক যুবক মোবাইলে ভিডিও করার কারণে তার মোবাইলও জব্দ করে প্রক্টরিয়াল বডি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, অভিযান চলাকালে ছাত্রদের হোস্টেলের একটি কক্ষ থেকে এক ছাত্রীকে উদ্ধার করি। পরে তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আমরা স্বল্প পরিমাণ গাঁজা ও বহিরাগত এক যুবকের মোবাইল ফোন জব্দ করেছি।
প্রসঙ্গত, চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ২২ দফা দাবিতে গত বছরের ২ নভেম্বর ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। শুরুতে তাদের আন্দোলন ইনস্টিটিউটের সংস্কার কেন্দ্রিক থাকলেও পরবর্তীতে তা ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের একদফা দাবিতে রূপ নেয়। এরপর শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে শর্ত সাপেক্ষে গত ২৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরলেও সপ্তাহের মাথায় সোমবার আবারও ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে যান শিক্ষার্থীদের একাংশ।
অপরদিকে একইদিন ইন্সটিটিউটের মূল ফটকে সংস্কার আন্দোলনকারীদের পুনরায় তালা দেওয়ার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীদের অপর একটি অংশ। এ সময় তারা ক্লাস চালু রাখার দাবি জানান।