সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে স্মরণসভা
সাদার্ন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (পুরকৌশল) বিভাগের প্রধান বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফের মৃত্যুতে তিন দিনের শোকসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে সাদার্ন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। প্রয়াত এ গুণী শিক্ষকের স্মরণে তাঁর কর্ম ও জীবন নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভা, খতমে কোরআন, দোয়া মাহফিল ও একদিনের জন্য সকল অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল মোস্তফার সভাপতিত্বে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ স্মরণসভায় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সরওয়ার জাহান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, উপদেষ্টা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মরহুমের পরিবারের সদস্য, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ। সোমবার সকালে ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ, আরেফিন নগরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্মেলন কক্ষে খতমে কোরানের পর মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদ মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন।
স্মরণসভার আলোচনায় বক্তারা বলেন, আলী আশরাফের মৃত্যুতে শুধু সাদার্ন নয় পুরো দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। দেশ ও জাতির স্বার্থে এমন গুণী ব্যক্তিত্বের খুব প্রয়োজন। সাদার্ন ইউনিভার্সিটির পথচলায় তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন আন্তরিক ও উদ্যোগী একজন মানুষ যা অন্যদের জন্য অনুকরণীয়। তিনি আন্তরিকভাবে মিশে সবার সাথে কাজ করতে পছন্দ করতেন। সময়ের প্রতি অত্যন্ত যত্মশীল এবং অসম্ভব কাজ পাগল এ শিক্ষক ভালোবাসতেন শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষার্থীদের। পড়ানোর ব্যাপারে ছিলেন আন্তরিক ও ধৈর্যশীল। বক্তারা আরো বলেন, চট্টগ্রামের অনেক উন্নয়ন কর্মকা-ে আলী আশরাফের অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি সাদার্ন ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। খুব অল্প সময়ে সফলভাবে দুটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন, বিভাগের আইইবি’র অ্যাক্রেডিটেশন অর্জন সবি তাঁর একক কৃতিত্ব গুণে সম্ভব হয়েছে। তাঁর প্রচুর গবেষণামূলক প্রকাশনা দেশ-বিদেশে সমাদৃত। বিভিন্ন সামাজিক ও সংস্কৃতিক কর্মকা-েও তিনি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। প্রতিষ্ঠানকে হৃদয়ে ধারণ করে সব সময় চেষ্টা করে গেছেন ভালো কিছু করে বিশ্বব্যাপী সুনাম ছড়িয়ে দিতে। বিজ্ঞপ্তি