এ জেড এম হায়দার
অবশেষে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। জায়গা বরাদ্দ পাওয়ার পর অনেকটা সময় কেটে গেলেও বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে আয়কর ভবন আলোরমুখ দেখতে পায়নি। এবার সেই প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন কর ভবনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
গতকাল (বুধবার, ৮ জানুয়ারি) একনেক সভায় ৪৩৭ কোটি টাকা অর্থ ব্যয়ে ভবন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা একেনেকের সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় অনুমোদিত ১০টি প্রকল্পের মধ্যে এটি অন্যতম। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিজিও বিল্ডিং-০২ এর পিছনে এক দশমিক তিন একর জমির উপর কর ভবন নির্মাণ কাজ আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে কর কর্মকর্তারা আশা করছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্রকল্পটি এডিবিভুক্ত করা হয়। কিন্তু নানান জটিলতায় প্রকল্পটির কাজ স্থবির হয়ে পড়েছিল। বুধবার সকালে একনেক সভায় প্রকল্পটি পাশ হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রামে কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিদেও মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যায়। বিশেষ করে চট্টগ্রাম কর প্রশাসনের কমিশনাররা সহকর্মীদের নিয়ে প্রকল্পের জমিতে ছুটে আসেন। তাঁরা কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে কর অঞ্চল-১,২,৩, ৪ চট্টগ্রামের কর কমিশনার যথাক্রমে মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আব্দুস সোবহান, মো. মন্জুর আলম , মিজ আয়েশা সিদ্দিকা শেলী এবং চট্টগ্রাম কর আপীল অঞ্চলের কমিশনার মিজ সামিনা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা জানান, ভবন নির্মিত হলে অফিস ভাড়া বাবদ সরকারি বিপুল পরিমান অর্থের সাশ্রয় ও কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। করদাতাগণ একই ভবনে আয়কর সংক্রান্ত সকল সেবাও পাওয়া যাবে। এজন্য প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনুস, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ ও রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আব্দুর রহমান খানের প্রতি চট্টগ্রাম কর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।