নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে অধীনে এবার এসএসসির পরীক্ষায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পাসের হার ছিলো ৮৭.৫৩ শতাংশ। অকৃতকার্য হয়েছে ১৮ হাজার ৫৬৭ জন। যারা ফলাফল খারাপ করছেন তারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন। সেখানে ইংরেজি ১মপত্রের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৭ হাজার ৪৯৩ জন। সবচেয়ে বেশি এ বিষয়ে আবেদন পড়েছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, পুনঃনিরীক্ষণের জন্য সর্বমোট ১৪ হাজার ৫২৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। তারমধ্যে ইংরেজি ১ম পত্রের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৭ হাজার ৪৯৩ জনের। ইংরেজি ২য় পত্রের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৪ হাজার ২৯৪ জন। এছাড়াও বাংলা প্রথম পত্রে ২ হাজার ২৭৮ জন, বাংলা ২য় পত্রে ১ হাজার ৫৬৩ জন, গণিতে ৩ হাজার ২৪০ জন, ভূগোলে ২৫৬ জন, উচ্চতর গণিতে ১ হাজার ৫৭৯ জন, কৃষিশিক্ষায় ৩৩৪ জন, পদার্থবিজ্ঞানে ১ হাাজর ২৪২ জন, রসায়নে ১ হাজার ৮৩৪ জন, জীববিজ্ঞানে ১ হাজার ৪৩৮ জন, পৌরনীতিতে ২৬৪ জন, অর্থনীতিতে ১৪২ জন, ব্যবসায় উদ্যোগে ১ হাজার ১০ জন, হিসাববিজ্ঞানে ৪৪৯ জন, গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে ২৫৩ জন, ফিন্যান্স বিষয়ে ৫০৫ এবং ইতিহাস বিষয়ে ২৩৩ জনের আবেদন পড়েছে।
এর আগে ২০২১ সালে প্রায় আট হাজারের বেশি পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বেশি জমা পড়ে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে খারাপ করেছে। পার্বত্য অঞ্চলে বেশি সংখ্যক রয়েছে। সেখানে রয়েছে শিক্ষক সংকট। একই সাথে দারিদ্র সীমার নিচে বাস করেন। যার কারণে অনেক অভিভাবক সন্তানকে প্রাইভেট পড়াতে পারে না। পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ২৪ ডিসেম্বর।