নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনায় পুলিশে দিন দিন আক্রান্ত বাড়ছে। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে শনিবার করোনা পজিটিভ হওয়া ৬৫ জনের মধ্যে ২২ জন ই পুলিশের সদস্য। এর মধ্যে মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের ১৫ জন ও শিল্প পুলিশের সাতজন। বিআইটিআইডির পজিটিভ হওয়াদের মধ্যে ৯ জন রয়েছেন র্যাবের সদস্য। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রড়্গাকারী বাহিনীতে করোনা আক্রানেত্মর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এদিকে শনিবার চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও কক্সবাজার ল্যাবে করোনা পরীড়্গায় ৪৫১টি নমুনায় ১৬৬ জন করোনায় পজিটিভ হয়েছেন। এই ১৬৬ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৪৬ জন ও বিভিন্ন উপজেলার রয়েছে ২০ জন। ফলে চট্টগ্রামে মোট আক্রানেত্মর সংখ্যা ১ হাজার ৬১১ জন। এদের মধ্যে সুস’ হয়ে বাড়ি গেছেন ১৪৬ জন ও মারা গেছেন ৫২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৪৬টি নমুনার মধ্যে ৬২টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৬২টি পজিটিভের মধ্যে ৫৬টি মহানগরীর ও ৬টি বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল শনিবার ১৪০ জনের নমুনার মধ্যে ৯৮ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে মহানগরীর ৯০ জন ও উপজেলার রয়েছে ৮ জন। ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০টি নমুনায় সবগুলো নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৫টি নমুনার মধ্যে ৬টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এরসবগুলোই উপজেলার।
যেসব উপজেলার ২০ জন
এদিকে গতকাল করোনা আক্রান্ত হওয়া উপজেলার ২০ জনের মধ্যে লোহাগাড়ার ২ জন, সাতকানিয়ার চার জন, আনোয়ারার একজন, পটিয়ার দুই জন, রাঙ্গুনিয়ার তিন জন, ফটিকছড়ির একজন, হাটহাজারির একজন ও সীতাকুন্ডের ছয় জন রয়েছেন।
এদিকে আজ নতুন করে ১৬৬ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ১,৬১১ জন। এর আগে ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।