জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক
সারাদেশে প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। চট্টগ্রামে এবার পাশের হার ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮৭.৫৩ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৯ শতাংশ কম। ২০২২ সালে পাশের সংখ্যা ছিলো ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১৩ জন, ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৮৬ জন। শুধু তাই নয় জিপিএ -৫ ও কমেছে প্রায় ৭ হাজারের বেশি। দীর্ঘ সময়ের পর পূর্ণাঙ্গ নম্বর এবং পূর্ণাঙ্গ সময়ের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় পাশের হার কমেছে দাবি শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
গতকাল শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ।
এ সময় তিনি বলেন, বিগত বছরে অটোপাশ এবং কম বিষয়ে পরীক্ষা হলেও এবার সব বিষয়ে পূর্ণ নাম্বারে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। যা ঢাকা বোর্ড, সিলেট এবং দিনাজপুর বোর্ড থেকে এগিয়ে রয়েছে। তবে এবার সবচেয়ে গণিতে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি খারাপ করেছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার্থী। কারণ সেখানে অনেক স্কুলে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে দারিদ্রতা। অনেক অভিভাবকের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠেনা সন্তানকে প্রাইভেট পড়ানোর। আবার অনেক শিক্ষার্থীও বাসায় মনোযোগ দিয়ে পড়ে না। এতে ফল খারাপ হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ‘ চট্টগ্রামে এবার এসএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৮৬ জন অংশগ্রহণ করেছে। তার মধ্যে পাশ করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ হাজার শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ৩১৬ জন এবং ছাত্রী ৮৬ হাজার ৫০৩ জন। পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৯.২৪ শতাংশ কম। ছাত্রদের পাসের হার ৭৭.৭৫ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৯.৫৮ শতাংশ কম এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৭৮.৭২ শতাংশ যা গত বৎসরের তুলনায় ৮.৯৭ শতাংশ কম। দীর্ঘ সময়ের পর সবগুলো বিষয় এবং পূর্ণ নাম্বারে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রস্তুতির ঘাটতি থাকতে পারে। ’
এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে সর্বমোট ১১ হাজার ৪৫০ জন, যা গত বৎসরের তুলনায় ৭ হাজার ২১৪ জন কম। এর মধ্যে ছাত্র রয়েছে ৫ হাজার ৪ জন যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ৭৭১ জন কম এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৬ হাজার ৪৪৬ যা গত বছরের তুলনায় ৪ হাজার ৪৪৩ জন কম। এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে ২২ হাজার ৩৯৬ জন।
এ বছর বিজ্ঞানে পাশের হার ৯৩.৮৪ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৯৬.৮১। মানবিকে পাশের হার ৬৫.৪১ শতাংশ, যা গত বছর ৭৮.৮২ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা পাসের হার ৮২.০৬ শতাংশ, যা গত বছর ৯১.৩০ শতাংশ। বিজ্ঞানে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৮৭১ জন, মানবিকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪১৭ জন।
চলতি বছর মহানগরীর বিদ্যালয়গুলোতে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মহানগর বাদে জেলায় পাশের হার ৭৮ দশমিক ১০ শতাংশ।
কক্সবাজার জেলায় পাশের হার ৭৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটিতে ৬৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। খাগড়াছড়ি জেলায় পাশের হার ৬৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলায় ৭০ দশমিক ৩০ শতাংশ।