নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৩৭ জন রোগী। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডির তিনদিনের (২৪,২৫ ও ২৬ মে’র নমুনা) এর ৮১৬টি নমুনা পরীক্ষা করেছে আইইডিসিআর। শনিবার এসব নমুনা পরীড়্গার রিপোর্ট আসে। বিআইটিআইডি রিপোর্টের সাথে যুক্ত হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ২৬২০টি নমুনার রিপোর্ট। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ছিল ৫টি নমুনার রিপোর্ট।
তিন ল্যাবে ১০৮১টি নমুনার মধ্যে ২৩৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এই ২৩৭ জনের মধ্যে ১৭৮ জন মহানগরীর ও ৫৩ জন উপজেলার এবং ৬ জনের ঠিকানা ছিল না। নতুন করে ২৩৭ জন শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২,৮২৫ জন, এদের মধ্যে সুস’ হয়ে বাড়ি গেছে ২১৭ জন এবং মারা গিয়েছে ৭৫ জন।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৬০টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ১২০ জনের। এই ১২০ জনের মধ্যে ১১১ জন মহানগরীর এবং ৯ জন বিভিন্ন উপজেলার। মহানগরীর ১১১ জন হলেন- বহদ্দারহাটের দুইজন, খুলশির তিন, মনসুরাবাদে এক, বহদ্দারহাট খাজারোডে এক, আগ্রাবাদে তিনজন, দামপাড়ায় পুলিশ লাইনে ১৭ জন, আসকার দিঘির পাড়ে একজন, নন্দনকাননে এক, কালামিয়া বাজারে এক, অক্সিজেন এলাকায় দুই, চকবাজারে দুই, সদরঘাটে দুই, পতেঙ্গা নেভি গেইটে এক, হাজারি গলিতে দুই, বলুয়ার দীঘি এলাকায় এক, খলিফা পট্টিতে এক, আসাদগঞ্জে এক, দেওয়ানজি পুকুর পাড়ে এক, জেলখানায় চারজন, পতেঙ্গায় ছয় জন, জামালখানে একজন, মোমিন রোডে একজন, আজাদখান বাই লেইনে একজন, হিলভিউ আবাসিক এলাকায় তিনজন, বায়েজীদে তিনজন, চমেকে ১০ জন, পাহাড়তলীতে একজন, চট্টেশ্বরীতে একজন, নাসিরাবাদে একজন, অলংকার মোড় এলাকায় একজন, চান্দগাঁওয়ে চারজন, পূর্ব মাদারবাড়িতে একজন, কোতোয়ালীতে পাঁচজন, জাকির হোসেন রোডে একজন, ডবলমুড়িংয়ে একজন, বাকলিয়ায় একজন, আমিরবাগ আবাসিক এলাকায় একজন, পতেঙ্গা ঈসাখান এলাকায় একজন, ঈসাখান হাইস্কুল কলোনী একজন, চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ জন, হালিশহরে চারজন,নিউ মুরিংয়ে একজন, ও পোর্ট কলোনীতে একজন রয়েছেন। এছাড়া উপজেলার ১০ জন হলেন- হাটহাজারিতে দুইজন, লোহাগাড়ায় দুই জন, রাঙ্গুনিয়ায় একজন, বোয়ালখালীতে একজন, মিরসরাইয়ে একজন, সাতকানিয়ায় একজন, ফটিকছড়িতে একজন, চন্দনাইশে একজন রয়েছেন।
অপরদিকে বিআইটিআইডি তে নমুনা পরীড়্গা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ৮১৬টি নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে গত ২৪, ২৫ ও ২৬ মে এর ৮১৬টি নমুনা পরীড়্গা করে ১১৬ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ১১৬ জনের মধ্যে ৬৭ জন মহানগরীর এবং ৪৩ জন উপজেলার, ৬ জনের ঠিকানা পাওয়া যায়নি। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৫টি নমুনার মধ্যে একটি পজিটিভ পাওয়া গেছে। পজিটিভ পাওয়া নমুনাটি উপজেলার। এছাড়া শনিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
এদিকে উপজেলার ৫৩ জন রোগীর মধ্যে- লোহাগাড়ায় তিনজন, সাতকানিয়ার একজন, বাঁশখালীর ৫ জন, আনোয়ারায় একজন, চন্দনাইশে চারজন, পটিয়ায় ৬ জন, বোয়ালখালীতে পাঁচ জন, রাঙ্গুনিয়ায় একজন, রাউজানে পাঁচজন, ফটিকছড়িতে একজন, হাটহাজারিতে ছয়জন, সীতাকুন্ডে ১৪ জন ও মিরসরাইয়ে একজন রয়েছেন।
এদিকে নতুন করে ২৩৭ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ২,৮২৫ জন। এর আগে ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রানত্ম হয়েছিল।