নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। তিনি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার) পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গত এপ্রিল মোংলা বন্দরের দায়িত্ব নেয়ার নয় মাসের মধ্যে তিনি দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরের দায়িত্ব পেলেন।
অপরদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদকে নৌ বাহিনীতে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। একই অফিস আদেশে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব দেয়া হয় রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসাকে।
গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-১ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এদিকে সুপ্রভাতের পক্ষ থেকে কথা হয় নতুন চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত এপ্রিলে আমাকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এখন দেয়া হলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার) পদে দায়িত্ব পালন করেছিলাম।’
অপরদিকে কথা হয় চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা অবশ্যই সম্মানের। আর করোনাকালে আমি সকলের সহযোগিতা নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছি। গত ১২ এপ্রিল এখানে যোগদান করেছিলাম।’
চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এতো কম সময়ের জন্য কেউ চেয়ারম্যান ছিলেন না চট্টগ্রাম বন্দরে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে আসার আগে মোংলা বন্দরে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি দুই মাসের জন্য। আর এখানে তো নয় মাস। সেই হিসেবে অনেক বেশি সময়।’
উল্লেখ্য, করোনাকালীন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজকে পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এস এম আবুল কালাম আজাদকে। কোভিড পরিস্থিতি খুবই দক্ষতার সাথে সামাল দেয়ার পাশাপাশি বন্দরের কার্যক্রম একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। একইসাথে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট পরিস্থিতিও সামাল দিয়েছেন তিনি।
এ মুহূর্তের সংবাদ