সুপ্রভাত ডেস্ক »
মানুষের স্নেহে বড় হওয়া চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বাঘ শাবক ‘জো-বাইডেনকে’ দেখার সুযোগ পেতে যাচ্ছে জনসাধারণ। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১৯ অগাস্ট থেকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের সাথে দর্শনার্থী প্রবেশে জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। খবর বিডিনিউজের।
সাড়ে চার মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকায় সামাজিক ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া চিড়িয়াখানায় জন্ম ও মানুষের সাথে সখ্য গড়ে উঠা বাঘটির দেখা পায়নি কেউ।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, ১৯ অগাস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা খোলার ঘোষণা আসার পর থেকে অনেকেই চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া এবং মানুষের স্নেহে বড় হওয়া বাঘ ‘জো-বাইডেনকে’ দেখতে উদগ্রীব হয়ে আছে।
বাঘ শাবকটি চিড়িয়াখানার পরিবেশটাকেই করে নিয়েছেন নিজের মতো করে। মানুষ দেখলে তার হিংস্রতা নেই।
বাঘছানাটির পরিচর্যায়ও কোনো কমতি থাকছে না। বাঘছানাটির পরিচর্যায়ও কোনো কমতি থাকছে না। বাঘছানাটির ছবি, ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই বাঘটি দেখতে চিড়িয়াখানার ফটকে ভিড় জমাতেন।
কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকায় সবার ফিরে যেতে হতো দেখতে না পারার কষ্ট নিয়ে।
চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শুভ বলেন, ‘বাঘটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে আসার পর অনেকেই সেটাকে দেখার এবং সাথে ছবি তোলার অনুরোধ জানিয়ে ফোনও করতেন। কিন্তু তাদের আবদার রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ১৯ অগাস্ট চিড়িয়াখানা খোলার পর থেকেই প্রথম বাঘটি দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা।’
গত বছরের ১৪ নভেম্বর রাতে চিড়িয়াখানার ‘জয়া’ নামের একটি বাঘিনী তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। তবে শাবকগুলোকে মা দুধ খেতে না দেওয়ায় পরদিন একটি এবং ১৮ নভেম্বর আরও একটি শাবক মারা যায়।
জীবিত এই শাবকটিকে মায়ের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে আলাদা করে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে এবং অফিস কক্ষে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। সেখানে হাতে ধরে খাওয়ানো হয়েছিল দুধ।
পাঁচ মাস ধরে আদর যতেœ লালন পালন করা এ বাঘ ছানাটি ২১ এপ্রিল থেকে রাখা হয়েছে খাঁচায়। প্রথমে কিছুদিন বিকাল হলেই সেটিকে বের করে আনা হতো খাঁচা থেকে। তবে এখন খাঁচায় থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে এ বাঘটি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে গত বছরের ২০ মার্চ থেকে পাঁচ মাস বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। এবছর ১ এপ্রিল থেকে আবার বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রায় নয় মাস ধরে বন্ধ থাকায় আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল নিজস্ব আয়ে চলা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।
এমনকি চিড়িয়াখানার কর্মচারিদের বেতন পরিশোধ নিয়েও চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ।
এ মুহূর্তের সংবাদ