সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
চার্লস দিদিয়ের-চিনদেু ম্যাথিউকে নিয়ে গতবার লড়াকু দল ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। ডাগ আউটে ছিলেন মারুফুল হকের মতো কোচ। কিন্তু এবার চিত্রটা একটু ভিন্ন। স্থানীয় খেলোয়াড় যারা ভালো করেছেন তারা এবার নেই। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। মানও আহামরি নয়। তাই দেখার ছিল স্বাধীনতা কাপে মারুফুলের দল কেমন করে। চট্টগ্রাম আবাহনীর ভাগ্য ভালো বাংলাদেশ পুলিশ এফসি এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি। সৌভাগ্যক্রমে গোল পেয়ে তাদের রুখে দিয়েছে বন্দরনগরীর দলটি। আজ (মঙ্গলবার) ১-১ গোলের ড্রতে শেষ হয়েছে ‘ডি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচ।
পুলিশ এফসির এবার স্থানীয় সংগ্রহ আগের চেয়ে ভালো। এছাড়া বিদেশিদের মানও আশাব্যঞ্জক। বিশেষ করে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার দেনিলসন ও আফগান স্ট্রাইকার আমিরুদ্দিন শরীফিসহ অন্যদের সমন্বয়টা ছিল ভালো। দাপুটে পারফরম্যান্সে চট্টগ্রাম আবাহনীকে কাঁপিয়ে দিয়ে পুলিশ। প্রথমার্ধে বল বেশিরভাগ সময় প্রতিপক্ষের সীমানায় ঘোরাফেরা করেছে। আক্রমণও হয়েছে একচেটিয়া। কিন্তু কোনও সময় নিজেদের ব্যর্থতায় আবার প্রতিপক্ষের দৃঢ়তায় লক্ষ্যভেদ করা হয়নি।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ ঘড়ির ২৯ সেকেন্ডে পুলিশ এগিয়ে যেতে পারতো। আফগানিস্তানের ফরোয়ার্ড আমিরুদ্দিনের কাটব্যাক থেকে আমিরুল ইসলাম পোস্টের কাছ থেকে ঠিকমতো প্লেসিং করতে পারেননি। বল চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ১৩ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান দেনিলসনের পাসে এমএস বাবলু বক্সে ঢুকে লক্ষ্যে শট নিলেও তা ডিফেন্ডার শওকত রাসেল প্রতিহত করেন।
২২ মিনিটে আফগান জাতীয় দলে খেলা আমিরুদ্দিন সুযোগ নষ্ট করেন। বক্সে ঢুকে এই স্ট্রাইকার জোরালো শট নিলেও তা ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। দুই মিনিট পর বাবলুর থ্রু থেকে আমিরুদ্দিন আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন। গোলকিপারের পাশ দিয়ে অল্পের জন্য লক্ষ্যভেদ করতে পারেনন। বল চলে যায় পোস্টের বাইরে।
৩২ মিনিটে আমিরুদ্দিনের পাসে ব্রাজিলিয়ান দেনিলসনের শট গোলকিপার ফিস্ট করে ফেরান। সুযোগ নষ্ট করায় প্রথমার্ধে কোনও গোল আসেনি।
বিরতির পর ম্যাচ শুরু হতেই পুলিশকে আর হতাশ হতে হয়নি। ৪৮ মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। বাঁ প্রান্ত থেকে বাবলুর ক্রস গোলকিপার ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। ফিরতি বলে ৬ গজ দূর থেকে দেনিলসন বাঁ পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপান।
দুই মিনিট পর চট্টগ্রাম আবাহনীর সৌভাগ্য। পুরো ম্যাচে তাদের সেভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও পিছিয়ে পড়ে গোল পায় দ্রুত। ৫০ মিনিটে ফেরে সমতায়। বল রাশেদুল আলমের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বেজে ওঠে। নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ইবিমোবোওই থ্যাঙ্কগড দেখেশুনে গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করতে সময় নেননি।
৬৬ মিনিটে পুলিশ ডিফেন্ডারের ভুলে চট্টগ্রাম আবাহনীর সামনে সুযোগ চলে আসে। কিন্তু রুবেল মিয়া বল পেয়ে বক্সে ঢুকে স্বার্থপরের মতো নিজেই শট নিতে গিয়ে ব্যর্থ হন। উল্টো অহেতুক ডাইভের কারণে হলুদ কার্ডও দেখতে হয়েছে।
১০ মিনিট পর শওকত রাসেল ও ফয়সাল আহমেদের মধ্যে বলের দখল নিয়ে সংঘর্ষ হয়। দুজনেই মাঠে পড়ে থাকেন কয়েক মিনিট। তবে আশার কথা খেলা শেষ করতে পেরেছেন। যে শেষের স্কোরলাইনে লেখা- চট্টগ্রাম আবাহনী ১-১ পুলিশ।