নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর রেজাউল করিমের ওপর দিনে দুপুরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পৌরসভার স্থানীয় একটি সড়ক নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপির সহযোগী সংগঠন শ্রমিকদলের ক্যাডার কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সস্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। হামলায় রেজাউল করিমের একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসময় রেজাউল করিমকে বাঁচাতে গেলে কিরিছের আঘাতে তার ভাইপো সাঈদী সাহেদ মিঠুর দুটি আঙ্গুল কেটে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরম্নত্বর আহত কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার ১৭ জুলাই বেলা ৩টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড জনতা মার্কেট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত কাউন্সিলর রেজাউল করিম চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক এবং সাঈদী সাহেদ মিঠু একই এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় লোকজন সন্ত্রাসী কফিল উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সন্ত্রাসী কফিল উদ্দিন ওই এলাকার বাদশার ছেলে। সে বিএনপি’র রাজনীতির সাথেও জড়িত বলে জানা গেছে।
আহত পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিমের বরাত দিয়ে চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির বলেন, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে কয়েকদিন ধরে সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছিলো। এই সড়ক নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করে আসছে স্থানীয় বাসিন্দা বিএনপির সহযোগী সংগঠন শ্রমিকদলের ক্যাডার কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী।
এক পর্যায়ে গত কয়েকদিন আগে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের সাথে কফিল উদ্দিনের কথা কাটাকাটি হয়। এতে কফিল উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টার দিকে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের বাসায় ফেরার পথে ধারালো কিরিচ ও দা দিয়ে হামলা চালায় কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী।
চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মানিত্মক। এ ধরনের হামলা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। যারা এঘটনার সাথে জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, এমপি ও মেয়রসহ আমরা ঘটনাস’ল পরিদর্শন করেছি। গুরম্নতর আহত কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।