নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া »
লকডাউনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া চিংড়িজোনে নোবেল জয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানাধিন দেশের একমাত্র আধুনিক পদ্ধতির প্রায় ৩০০ একর চিংড়ি ঘের দখল নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর মৌজায় অবস্থিত চিংড়ি ঘেরটি দখল করে নেয়।
মঙ্গলবার ৬ জুলাই রাত ১১টার দিকে ৪০ জনকে আসামী করে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার জমা দেয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
চকরিয়া থানায় দেয়া এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুলাই রাত ৮টার দিকে চিংড়িজোন রামপুর মৌজার ৩ শ একর গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানাধীন চিংড়িঘেরে ৩০-৩৫ জন সশস্ত্র একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
এসময় ঘেরে থাকা ১৫ কর্মকর্তা ও ১০ জন শ্রমিককে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে তাড়িয়ে দেয়। পরে সন্ত্রাসীরা চিংড়িঘের দখলে নেয়।
মামলার বাদী গ্রামীণ ব্যাংক চিংড়িঘেরের ব্যবস্থাপক উৎপল কান্তি চৌধুরী জানান, বর্ষার আগে প্রায় ১৫ লক্ষ চিংড়ি পোনা ছাড়া হয়। এখন মাছ ধরার মৌসুম এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসীরা চিংড়িঘের দখলে নেয়।
মাছ ছাড়া ওই ঘেরে বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান মালামালও রয়েছে। সন্ত্রাসীরা এসব ব্যবহার করে প্রতিদিন অন্তত দুই লক্ষ টাকার মাছ আহরণ করছে।
তিনি আরও জানান, তিনশ চিংড়ি ঘেরের মালিক নোবেল জয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক। এটি দেশের একমাত্র আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ কেন্দ্র। প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এখানে বাগদা ও গলদা চিংড়ি চাষ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা নিয়মিত সরকারি খাজনা পরিশোধ করে আসছি। সন্ত্রাসীরা এরপরও আমাদের চিংড়িঘের দখলে নেয়ায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে থানায় এজাহার দায়ের করেছি।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার উৎপল কান্তি চৌধুরী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ৪০ জনকে আসামী করে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। তদন্তপূর্বক ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।