ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ ২৩-২৮ মে’র মধ্যে চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে

মে মাসেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’। ছবি :সংগৃহীত

সুপ্রভাত ডেস্ক »

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল। এতে বৈশাখের শেষদিকে এসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বিরাজ করছে ৪২ ডিগ্রির ঘরে। প্রচ- রোদ আর গরমে জনজীবনে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, ঠিক এ সময়ে বঙ্গোপসাগরে একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পূর্বাভাস জানা গেছে।

চলতি মে মাসের ২৩ তারিখ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে এ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশংকা কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।

গতকাল রোববার (১১ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেয়া এক পোস্টে এমন শঙ্কার কথা বলেছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

ফেসবুকে দেয়া ওই পোস্টে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সম্ভাব্য সময়ের কথাও জানিয়েছেন তিনি।

তাঁর দেওয়া ওই ফেসবুক পোস্টে এই আবহাওয়াবিদ জানান, মে মাসের ২৩ তারিখ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘শক্তি’। এই নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া।

আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ আরও জানিয়েছেন, ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যেকোনো স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও দেশের খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত বেশি।

এর আগে চলতি মাসে দেশে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে (মে, ২০২৫) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি।

এক মাস মেয়াদি ওই পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে ১ বা ২টি নি¤œচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছিল, ১৬ থেকে ১৮ মের মধ্যে সাগরে একটি সার্কুলেশন তৈরি হতে পারে। এরপর সেটি ধাপে ধাপে লঘুচাপ, নি¤œচাপ, গভীর নি¤œচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসে, তাহলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া, ভারি বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।

তবে সম্ভব্য ঝূর্ণিঝড় শক্তিকে নিয়ে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেনি বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।