খন রঞ্জন রায় »
কৃষিভিত্তিক অঞ্চলে সম্প্রদায়ভিত্তিক জনবসতির ছোট একক হলো ‘গ্রাম’। প্রাচীন সামন্ততান্ত্রিক সমাজে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির সমাজব্যবস্থায় গ্রাম ছিল রাজস্ব আহরণের নির্ভরশীল উৎস। কামার, কুমার, মাঝি, মেথর, জেলে, কৃষক সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বশাসিত এলাকাই গ্রাম। যুগের চাহিদার নিরিখে মানুষের ধ্যান-ধারণা, আকাক্সক্ষা-প্রাপ্তি, প্রযুক্তি কাঠামোর নানা বৈষম্য থাকলেও এখনও গ্রামে বসবাস করে গড়পড়তা- ৭৫ শতাংশ মানুষ।
পৃথিবীর সব দেশেই অতীতে গ্রামগুলো ছিল সুখ স্বাচ্ছন্দ্য এবং শান্তির আশ্রয়স্থল; গ্রামের পরিবেশ ছিল নির্মল, ঐতিহ্যময় ও আকাক্সিক্ষত। সে সময়ও মাঝে মাঝে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারী দেখা দিয়ে দুঃখ, দুর্দশা, অভাব, অনটনের সৃষ্টি করত, অনেক লোক মারা যেত। শিল্পবিপ্লব অনুসরণ করে সারা পৃথিবীতে দ্রুত শিল্পায়ন ও নগরায়ণের যে জোয়ার শুরু হয়েছে তার দোলা অতি অল্প সময়ের মধ্যে গ্রামগুলোতে পৌঁছে গ্রামীণ সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছে। আধুনিক সভ্যতায় গ্রামীণ জীবনকে পরিবর্তন করে, মডেল হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। মডেল হচ্ছে কোনো ব্যবস্থার সাধারণ বর্ণনা, যা ব্যবহৃত হয় কোন কিছুকে কিভাবে ব্যবহার করা হবে তার ব্যাখ্যা দানের জন্য অথবা যা ঘটতে পারে তার হিসাব নিকাশের জন্য। যেমন- ড. আখতার হামিদ খানের কুমিল্লা বার্ড মডেল, ড. ইউনুসের ক্ষুদ্র ঋণ মডেল ইত্যাদি।
গ্রামীণ উন্নয়নের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, গ্রাম উন্নয়ন হচ্ছে একটি কৌশল, এর মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনের মান উন্নত করা যায়। গ্রাম উন্নয়ন কৌশলের মাধ্যমে গ্রামের কৃষি ও গ্রামীণ শিল্পের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পথ খুঁজে পাওয়া যায়। গ্রামের মানুষদের ও গ্রামীণ সমাজের আধুনিকায়নও গ্রাম উন্নয়নের অন্তর্গত। এজন্য গ্রামকে বিচ্ছিন্ন হিসাবে না দেখে একে জাতীয় উন্নয়নের মূল ¯্রােত ধারার সাথে সংশ্লিষ্ট করাও গ্রাম উন্নয়নের উদ্দেশ্য। কোন বিশেষ খাতের উন্নয়নের মধ্যে গ্রাম উন্নয়ন সীমাবদ্ধ নয়, এর পরিধি অনেক ব্যাপক। গ্রামীণ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, গ্রামের মানুষদের খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও অকৃষি খাতে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি প্রভৃতি ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করা গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্য। গ্রাম উন্নয়ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, সম্পদের সুষম বন্টন এবং মৌলিক চাহিদা পূরণ প্রভৃতি দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার।
গ্রাম পরিকল্পনার জন্য শহর/নগর পরিকল্পনা থেকে স্বতন্ত্র বিশেষ কাঠামো ও কৌশল প্রয়োজন । পৌর জীবন থেকে স্বতন্ত্র ও গৌরবোজ্জ্বল জীবনযাপন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে সনাতন গ্রামীণ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা প্রয়োজন । খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন, বনভূমির বিস্তৃতি এবং খাদ্য উৎপাদন ও গ্রামীণ শিল্পের বিকাশের সমম্বয়ে পরিকল্পনা তৈরির মাধ্যমেও তা বাস্তবায়ন করে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। পৌর বসতির সবরকম আর্থ-সামাজিক কাঠামো পৌঁছে দিয়ে গ্রামের নির্মল পরিবেশ, গ্রামীণ সমাজ কাঠামো, আত্মীয় স্বজনের পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ অক্ষুণœ রাখা স্বাস্থ্য বিধান, চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধি, ছোট-বড় সকলের জন্য শিক্ষাব্যবস্থার সম্প্রসারণ, অকৃষি পেশায় নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি এবং পরিবহন ও প্রযুক্তির অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করাই বড় কাজ।
গ্রামীণ উন্নয়ন পরিকল্পনা শুধুমাত্র কৃষি উন্নয়নের পরিকল্পনা নয়, বরং এরচেয়ে বেশি কিছু। কৃষি উন্নয়ন গ্রামীণ উন্নয়নের প্রাথমিক পর্ব। গ্রাম এলাকার কৃষি একটি মৌলিক ভিত্তি ছাড়াও কৃষিপণ্য শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কৃষি শিল্পায়নেরও ভিত্তি। সুতরাং গ্রাম উন্নয়নের জন্য সামগ্রিক আঞ্চলিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। এজন্য গ্রামীণ পরিকল্পনাকে গ্রামীণ এলাকার কৃষি, শিল্প ও সেবাখাত উন্নয়নের সমন্বিত পরিকল্পনাও বলা হয় এবং এরূপ পরিকল্পনায় গ্রামীণ জীবনের সকল উপাদান তথা আর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংগঠনিক ও পারিবেশিক উন্নয়ন একই সঙ্গে সন্নিবেশিত হওয়া উচিত। কৃষি ও অকৃষি খাত, সেবা খাত ও গ্রামীণ-শহর কেন্দ্র উন্নয়ন, সামাজিক সেবা ও ভৌত কাঠামো নির্মাণ এবং জনঅংশগ্রহণ সবকিছুই গ্রামীণ পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত।
কৃষিক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণের অপরিহার্য অঙ্গ হচ্ছে বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষাবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির নিমিত্তে ট্রাক্টর, ইলেকট্রিক মোটর, হ্যারভেস্টার, থেসার, বুলডোজার, পাওয়ার টিলার, পাওয়ার পাম্প, গভীর নলকূপ প্রভৃতি যন্ত্রপাতির ব্যাপকভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ । কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ফলশ্রুতিতে সহজে জমিতে পানিসেচ করা যায় এবং জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা সমস্যা দূরীভূত করা সম্ভব হয়। এতে সময়ের অপচয় রোধ হয়, উৎপাদন ব্যয় কমে যায় এবং অল্পশ্রমে বেশি উৎপাদন সম্ভবপর হয়। মোটকথা, যান্ত্রিকীকরণের ফলে কৃষিতে একরপ্রতি উৎপাদন বহুগুণে বেড়ে যায়।
এইজন্য কৃষকদের ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ বিষয়টি প্রচলিত। কৃষি যন্ত্রপাতি সহজলভ্যতার বিষয়টিও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এরপর রয়েছে কৃষিকে ভাগ-বিভাজনে বিস্তৃতি ঘটানো। সেই আলোকে প্রয়োজন দক্ষ-প্রশিক্ষিত জনশক্তি গড়ে তোলা। ১) খাদ্য সংরক্ষণ ও পুষ্টি বিজ্ঞানী ২) ফুড ৩) ফ্রুট ৪) কোল্ডষ্টোরেজ ৫) মিল্ক প্রক্রিয়াকরণ ৬) মৎস প্রক্রিয়াজাতকরণ ৭) মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ ৮) পানি পরিশুব্ধকরণ ৯) ফলমূল সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ । ১০) বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রি বিশেষ পর্যায়ে সহকারী বাবুর্চি ১১) লবণ উৎপাদন ১২) লবণ প্রক্রিয়াকরণ ১৩) সুগার টেকনোলজি ইত্যাদি বিষয়সমূহ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দক্ষ প্রশিক্ষিত লোকবল তৈরি করা। কৃষি ও কৃষিজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও:Ñ ১) কৃষিবিদ ২) ভেটেরেনারি ৩) পোল্ট্রি ৪) মৎস্য ৫) এগ্রো ইঞ্জিনিয়ারিং ৬) ফরেস্ট ৭) চা উৎপাদন ৮) চা প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে শ্রেণি পেশার উদ্ভব ঘটানো।
অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শহর অঞ্চলে বিভিন্ন শিল্প গড়ে কাঁচামালভিত্তিক গ্রামে কুটির শিল্প গড়ে তোলা প্রয়োজন। প্রত্যেক দেশেই তাঁতী, কামার, কুমার, জেলে সম্প্রদায়ের লোকেরা অকৃষি পেশায় নিয়োজিত থাকে। উৎপাদন ব্যবস্থা সনাতনি হওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এরা টিকে থাকতে পারছে না। আধুনিক প্রশিক্ষণ ও মূলধন দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করলে এদের উৎপাদিত দ্রব্যের মান উন্নত হবে এবং বিদেশে সেগুলোর চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। কৃষির সাথে বস্ত্রকে সম্পৃক্ত করতে হয়।
বস্ত্রক্ষেত্রে জনশক্তির চাহিদা লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগুতে হবে। ১. টেক্সটাইল ২. গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং ৩. তাঁত শিল্প প্রযুক্তিবিদ্যা ৪. টেক্সটাইল কেমিকেল টেকনোলজি ৫. রেশম শিল্প ৬. ড্রাই ক্লিনিং ৭. স্যানেটারি ন্যাপকিন ইত্যাদি শিল্প উন্নয়নে গ্রামীণ জনশক্তির চাহিদার ১) জুট ২) লেদার ৩) লেদার প্রডাক্ট আ্যান্ড এক্সসরিস ৪) ফুটওয়্যার ৫) গ্যাস ৬) সিরামিক ৭) রাবার প্রযুক্তিবিদ্যা ৮) মৃৎশিল্প ৯) আ্যালুমিনিয়াম প্রযুক্তিবিদ্যা ১০) জুয়েলারি প্রযুক্তিবিদ্যা ১১) ড্রাফটম্যানসিপ প্রযুক্তিবিদ্যা ১২) কৌশল প্রযুক্তিবিদ্যা ১৩) ডিপ্লোমা ইন ফিল্ম মেকিং ১৪) গ্যাস টেকনোলজি ১৫) ফার্ম টেকনোলজি ১৬) প্লাস্টিক শিল্প প্রযুক্তি বিদ্যা ১৭) কসমেটিক প্রযুক্তিবিদ্যা ১৮) কম্পিউটার টেকনোলজি ১৯) মোবাইল টেকনোলজি ২০) আবাসন বিষয়ক ২১) আবাসন এক্সসরিজ ২২) হোসিয়ারি বিষয়সমূহকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
ভিলেজ ভিশন ২০৫০ নির্ধারণ করে বাংলাদেশের চাহিদা পূরণ করে প্রতিটি গ্রাম থেকে ২টি করে পণ্য রফতানি করা নীতি গ্রহণ করা হবে উদ্দীপিত বুদ্ধিদীপ্ত কাজ। গ্রামীণ ব্যবস্থায় জনসাধারণ সারাবছর কাজ করার সুযোগ পায় না। কৃষি কাজ ব্যতীত অন্যকোন বিকল্প জীবিকার সুযোগ না থাকায় প্রায় সকল লোকই কম- বেশি বেকার থাকে। এ ধরনের জনশক্তি কাঠামো গড়ে তোলা গেলে সারাবছর কর্মমুখী পরিবেশ বিরাজ করবে। জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। শহরগুলোর মতই গ্রামে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু নুতন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। স্থানীয় কাঁচামালের যোগানের উপর ভিত্তি করে গ্রামীণ এলাকায় ক্ষুদ্র শিল্প ও কুটিরশিল্প গড়ে তুলে নুতন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে যাবে।
গ্রামীণ জনসংখ্যার স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতিবিধান করা গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্য হওয়া উচিত। অপরিচ্ছন্নতা, অভাব অনটন ও অপুষ্টিজনিত কারণে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। গ্রামীণ চিকিৎসাব্যবস্থাকে নির্ভরশীল করতে ১। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ২। মেডিকেল টেকনোলজি ৩। ল্যাবরেটরি মেডিসিন ৪। ডেন্টাল ৫। রেডিওলজি আ্যান্ড ইমেজিং ৬। ফিজিওথেরাপি ৭। ফার্মেসি ৮। নার্সিং ৯। অপটিক্যাল রিফ্রাকশন ১০। রেডিওথেরাপি ১১। স্যানেটারি ইন্সপ্যাক্টর ১২। ডেন্টাল আ্যাসিস্ট্যান্ট ১৩। ডেন্টাল হাইজিন ১৪। ডেন্টাল নার্স ১৫। ডেন্টাল ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান ১৬। মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি ১৭। ব্লাড ব্যাংক টেকনোলজি ১৯। আই টেকনোলজি ২০। এনাসথেসিয়া টেকনোলজি ২১। ইসিজি টেকনোলজি ২২। হোমিওপ্যাথিক ২৩। হোমিওপ্যাথিক নার্স ২৪। হোমিওপ্যাথিক ফার্মাসিস্ট ২৫। মিডওয়াইফ ২৬। অপারেশন থিয়েটার (ওটি) ২৭। হেয়ার কাটিং আ্যান্ড ফ্যাশন ডিজাইন ২৮। ইউনানি অ্যান্ড আয়ুর্বেদীয় ফার্মাসিস্ট, আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসক সংখ্যা পরিকল্পিতভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
কুটির শিল্প, মাছ চাষ, হাঁস-মুরগী পালন, নার্স, ধাত্রী, সেলাই এর কাজ, রাজমিস্ত্রীর কাজ, দর্জির কাজ, ছাপাখানার কাজ, বই বাঁধাই, বিদ্যুতের কাজ, মোবাইল, টেলিভিশন, মোটর মেরামতের কাজ, ওয়েলডিং এর কাজ স্বাধীন স্বতন্ত্রভাবে করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারেন।
“এ্যাডুকেশন ফর পিপল অ্যান্ড প্লানেটঃ ক্রিয়েটিং সাসটেইনেবল ফিউচারস ফর অল” শিরোনামের ইউনেস্কো গ্লোব্যাল এডুকেশন মনিটরিং প্রতিবেদনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার নানাদিক তুলে ধরা হয়। এতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়েদের শিক্ষাগ্রহণ থেকে ছিটকে পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও গ্রামীণ নানা সীমাবদ্ধতাকে। বলা হয়েছে, গ্রামীণ এলাকার নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকেই ঝরে পড়ে অনেক।
দারিদ্র্য নির্মূলে শিক্ষাক্ষেত্রে আসলেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে। গ্রামাঞ্চলে সরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নি¤œমাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। শিক্ষা সমাপন শেষে যেন কর্মক্ষম হয়, কর্মোপযোগী হয় সেই দিকটিই বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে। অনমনীয় গ্রামীণ সংগ্রামী জীবনে নতুন প্রজন্ম যেন আলোর দিশারী হয়, পথপ্রদর্শক হয় সেই উজ্জীবনী শক্তি সাধনাই সকলের কাম্য।
সমাজচিন্তক, গবেষক