গাছ রক্ষায় যুগান্তকারী রায় নিশ্চয়ই

বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এক যুগান্তকারী রায় প্রদান করেন।
আদালত বলেছেন, দেশে দিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকসংখ্যক গাছ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। ব্যাপকভাবে গাছ কর্তন করা হলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে, যা বেঁচে থাকার অধিকার খর্ব করবে। পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য যে পরিমাণ গাছ দেশে থাকা দরকার, সে পরিমাণ গাছ নেই এবং এই গাছগুলো রক্ষা করা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।
রায়ের পর রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট গাছ কাটার ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই কমিটির অনুমতি ছাড়া ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে গাছ কাটা যাবে না। তবে গ্রামাঞ্চলে ব্যক্তিমালিকানাধীন গাছ কাটার বিষয়টি এর আওতায় আসবে না।
হাইকোর্ট ঢাকার ক্ষেত্রে গাছ কাটার অনুমতি নেওয়ার জন্য পরিবেশবাদী, পরিবেশবিশেষজ্ঞ, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকদের সমন্বয়ে সাত দিনের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে সাত দিনের মধ্যে সার্কুলার জারি করে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ কর্মকর্তা, সরকারি কলেজের অধ্যাপক, সমাজকর্মী, পরিবেশবিদ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সিভিল সার্জনকে নিয়ে জেলা পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। এই কমিটি জেলা পর্যায়ের গাছ কাটার অনুমতির বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে জানান।
এ রায় যুগান্তকারী বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কারণ কোনোভাবেই গাছ কাটা থামানো যাচ্ছিল না দেশে। গাছ কাটার মধ্যে অপার এক আনন্দ লাভ করে যেন একটি গোষ্ঠী। এতদিন জনগণ তাদের প্রতিহত করেছে এখন আইনি একটি কর্তৃপক্ষ হচ্ছে যারা গাছ রক্ষায় কঠোর অবস্থান নিতে পারবেন। তবে সেখানেও যেন সৎ মানুষদের যুক্ত করা হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।