গবেষণায় বরাদ্দ মাত্র ১.৭১ শতাংশ

চবি বাজেট

চবি সংবাদদাতা »

বিশ্ববিদ্যালয়ের মানদণ্ড নির্ধারিত হয় গবেষণার মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং এ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয় মৌলিক গবেষণা না থাকা। প্রতি বছর এই ব্যাপারে অনেক আলোচনা সমালোচনা থাকলেও ভ্রুক্ষেপহীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে দেখা যায় গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১.৭১ শতাংশ। গবেষণায় গত বছর বরাদ্দ ছিলো ৫ কোটি ৫৬ লাখ। কিন্তু ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৫৫ লাখ। অন্যান্য সকল খাতে প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় খরচ বেশি হলেও গবেষণায় উদ্বৃত্ত ছিলো ১ লাখ টাকা। তবে এটিকে নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন গবেষকরা। তাদের দাবি চাহিদামতো বাজেট না পেয়ে অনেক শিক্ষকই তাদের গবেষণা প্রকাশ করে নি।
গবেষণা সেলের প্রধান আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা গতবছরের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু সে হারে বাড়েনি গবেষণার বরাদ্দ। প্রসিদ্ধ কিছু জার্নালে গবেষণার আর্টিকেল প্রকাশ করতে গেলে এক থেকে দুই হাজার ডলার লেগে যায়। অনেক শিক্ষকের এতো অর্থ দিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করার সামর্থ্য নেই। বরাদ্দ কম হওয়ায় সেভাবে সহযোগিতা করতে পারি না।
উপস্থাপিত বাজেটে দেখা যায়, প্রতিবছরের মতো এবারও সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন ভাতা খাতে। এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ২৪৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৪.৪৩ শতাংশ। পেনশন ও অবসর সুবিধা হিসেবে ৬১ কোটি ৫ হাজার টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা মোট বাজেটের ১৫.৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ মোট বাজেটের প্রায় ৮০ শতাংশই ব্যয় হবে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। এছাড়া পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তা হিসেবে ৫৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এদিকে যানবাহন বাবদ অনুদান ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অনুদান ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬১ লাখ টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৮৪ কোটি ০৫ লাখ টাকা চাহিদার বিপরীতে ৩৮২ কোটি ৪১ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। যার মধ্যে ৩৫৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা দেবে ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য নিজস্ব আয় থেকে আসবে ২২ কোটি টাকা। এ ছাড়া ৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ঘাটতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।