চবি প্রতিনিধি »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের উদ্যোগে ‘অপরাধ বিজ্ঞান ও অপরাধ বিচার ব্যবস্থা গবেষণা পদ্ধতি’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়ে হয়েছে।
১৩ জুন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শ্রেণীকক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চবি ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসাইন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ। রিসার্চ পার্সন ও প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রথম দায়িত্ব হলো কোনটি অপরাধ আর কোনটি অপরাধ নয় এগুলো নিয়ে গবেষণা করা। ক্রিমিনোলজি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগ হওয়ার কারণ হলো- যারা অপরাধ নিয়ে কাজ করবে, তাদেরকে সমাজের মানুষের গতিবিধি বুঝতে হবে। মানুষের পরিবর্তনের পেছনের কারণগুলো খুঁজতে হবে আমাদের। কেউ চুরি করলেই সেটাকে সরাসরি অপরাধ বলছি আমরা, অথচ এর পেছনে অন্যকিছু আছে কি-না সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি না।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও পুলিশ প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য কোনও সংস্কার হয়নি। উন্নত দেশগুলোর মতো কেন আমাদের এ সেক্টরে পরিবর্তন হচ্ছে না? এগুলো নিয়ে আপনাদের গবেষণা করতে হবে। প্রশাসনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কেউ নিয়োগ পেলে আমরা সবাই তাকে সম্মান করছি, সংবর্ধনা দিচ্ছি। অথচ এর পেছনেও রয়েছে আমাদের অসৎ উদ্দেশ্য। আমরা কোনো সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্য এ কাজগুলো করছি। কথিত এ সম্মানও এক ধরনের অপরাধ। যদিও এটাকে সরাসরি আমরা অপরাধ বলতে পারি না। তবে ক্রিমিনোলজির ছাত্র হিসেবে আপনারা প্রশাসনের যেই পর্যায়েই যাবেন, কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে ভেবে দেখবেন আসলেই এটা অপরাধ কি-না?
সেমিনারের আলোচক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, গবেষণা করতে হলে আমাদের নিবেদিত হতে হবে। যেই বিষয়ে গবেষণা করবো, সেই বিষয়ে গভীরভাবে জানার জন্য আমাদেরকে মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। তবে এর মানে এই নয় আমরা যেটা পারবো না সেটা নিয়েও মাঠে নেমে যাবো। নিজেদের সামর্থ বুঝেই গবেষণা শুরু করতে হবে। এছাড়া গবেষণার ক্ষেত্রে ভাষাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাতৃভাষায় গবেষণা করা যেতে পারে। তবে যদি চান এ গবেষণাটা সবার কাছে পৌঁছে দিতে, তাহলে অবশ্যই গবেষণাগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- গবেষণা পদ্ধতি ভালোভাবে জানতে হবে আমাদের। এছাড়া সেমিনারে ক্রিমিনোলজি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।