ষাট দশকের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, অবিভক্ত চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখতার আহমদের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ২২ অক্টোবর নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ রাশেদের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শাহাবুদ্দীন মজুমদারের পরিচালনায় স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বঙ্গবন্ধুর কারামুক্তি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখতার আহমদ ছিলেন সে সময়ের ছাত্র গণআন্দোলনের মহানায়ক। সেদিন তাঁর সাহসী নেতৃত্বে অসংখ্য নিবেদিতকর্মী তৈরি হয়েছিল, যারা পরবর্তীতে হয়ে ওঠেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের অগ্রবর্তী বাহিনী। প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ হাশেম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখতার আহমদ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুব কাছের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন তাঁকে রাজনীতিতে টেনেছিল। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ট্রাস্ট চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখতার আহমদ ছিলেন আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনার ধারক। তিনি এক চুল পরিমাণও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, মোখতার আহমদের মতো পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদের আজ বড়ই অভাব। তিনি অর্থ ও মোহকে পেছনে ফেলে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায়। এ সময় বক্তারা মোখতার আহমদকে যথাযথ মূল্যায়নপূর্বক রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘স্বাধীনতা পুরস্কারে’ ভূষিত করার দাবি জানান।
স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের মাসুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আবদুল মতিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস হাফিজ খান রুমু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এইচ এম জিলানী চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র বণিক, সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, চসিক কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, কে এম সালাউদ্দিন কামাল, আবদুল ওয়াজেদ সিদ্দিকী, রুপম মুৎসুদ্দি টিটু, দীপংকর দেবনাথ, স ম জিয়াউর রহমান। পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মোখতার আহমদের সন্তান আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন নজরুল ইসলাম মোস্তাফিজ। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর