সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
সশরীরের না হলেও অনুরাগীরা মন থেকেই উপস্থিত থাকবেন স্টেডিয়ামে। বিশ্বের মানুষ এক অভূতপূর্ব পরিস্থিত মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের মনোবল একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। খেলাধুলাই পারে মানুষের সেই হারানো মনোবল ফিরিয়ে আনতে। জানালেন প্রাক্তন তারকা ইংরেজ ক্রিকেটার কেভিন পিটারসন।
মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর নিজেদের দেশে ফুটবল চালু করার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে স্পেন, জার্মানির মতো দেশগুলি। একইভাবে নিরাপত্তার দিকটি সম্পূর্ণ সুনিশ্চিত করে বাইশ গজেও খেলা ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী পিটারসন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে অনুরাগী, সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়ানোর দায়িত্ব আমাদের। প্রত্যেকেই খুব নেতিবাচক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একমাত্র খেলাধূলোর মাধ্যমে তাকে মনোবল ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।’ তবে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক বাজারে না আসা অবধি ফাঁকা গ্যালারিতেই খেলা চালু করার পক্ষে সায় দিয়েছেন তিনি।
ডেইলি মেল’কে পিটারসন জানিয়েছেন, ‘স্টেডিয়ামে অনুরাগী না থাকাটা কোনও ইস্যু হতে পারে না। টেলিভিশন ব্রোডকাস্টিংয়ের মাধ্যমেও সংস্থাগুলো তাদের রেভিনিউয়ের পথ সুনিশ্চিত করতে পারে।’ প্রাক্তন ক্রিকেটারের আরও সংযোজন, ‘বেশ কিছু ক্রিকেটার যারা কেরিয়ারের মূল্যবান সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তাদের দিকটাও ভেবে দেখতে হবে। দর্শক স্টেডিয়ামে থাকবে না তো কী হয়েছে। ঘরে বসে ব্রডকাস্টিংয়ের মাধ্যমে তো তারা থাকছেনই।’
সম্প্রতি পিটারসনের কথার সূত্র ধরে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে ক্রিকেট চালুর পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ের নায়ক বেন স্টোকসও। তার কথায়, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ক্রিকেট শুরু হলে তাতে ক্রিকেটের সার্বভৌমত্ব কোনওমতেই ক্ষুণœ হবে না।
উল্লেখ্য জার্মানি, স্পেন, তুরস্কের পর এবার দেশে ফুটবল ফেরানোর ব্যাপারে সোমবার উদ্যোগী হয়েছে ব্রিটেনের সরকারও। বেশ কিছু সেক্টরের কাজ শুরুর বিষয়ে সোমবার দুপুরে ৫০ পাতার একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করেছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যেখানে প্রিমিয়র লিগ শুরু হয়্যার বিষয়টি সবুজ সংকেত পেয়েছে। মনে করা হচ্ছে জুনের শুরু থেকেই পুনরায় শুরু হবে ইংলিশ প্রিমিয়র লিগ।