সুপ্রভাত ডেস্ক »
বেগম খালেদা জিয়াকে দুই শর্তে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হয়। পরে আরও দুই দফায় ছয় মাস করে বাড়ানো হয় মুক্তির মেয়াদ। তৃতীয় দফায় বাড়ানো মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর। মেয়াদ শেষের আগেই স্বজনদের পক্ষ থেকে খালেদার ভাই শামীম এস্কান্দার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তিন দফায় ছয় মাস করে ১৮ মুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আগে তাকে স্থায়ীভাবে মুক্ত করে দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। তবে আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, স্থায়ীভাবে মুক্ত করার এখতিয়ার আদালতের।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আবেদনের বিষয়ে মতামত জানান। তাতে তিনি মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আমাদের মতামত দিয়ে দিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য মতামতসহ প্রস্তাব আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা ওনার (খালেদা জিয়া) দণ্ড আরও ছয় মাস স্থগিতের জন্য মতামত দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করার পরেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি হবে।
আগের তিন দফার মতো এবারও বিদেশে না যাওয়া এবং বাড়িতে চিকিৎসার শর্তে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। ২৫ মাস কারাভোগের পর করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর ২৫ মার্চ ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার সাজা শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরও ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।