চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন খালের মধ্যে কোনো খোলা পায়খানা রাখা যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। যারা নগরীর বিভিন্ন খালে খোলা পায়খানা স্থাপন করেছেন তা নিজ দায়িত্বে দ্রুত অপসারণের নির্দেশ দেন। না হয় কর্পোরেশন তা উচ্ছেদ করবে।
তিনি গতকাল শুক্রবার সকালে চলমান মশক নিধন কার্যক্রমের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর মাস্টার পোল এলাকায় ক্র্যাশ প্রোগ্রামে একথা বলেন। এ সময় কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, সাংস্কৃতিক কর্মী শাহরিয়ার খালেদ, সাবেক ছাত্রনেতা শাহ নেওয়াজ খালেদ, কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রশাসকের সাথে ছিলেন।
ক্র্যাম প্রোগ্রামে মাস্টার পোল এলাকার চাক্তাই খালে মশার ওষুধ ছিটানোকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমি নগরবাসীর প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ করবো আপনারা নালা-নর্দমা, খাল ও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলবেন না। খালে খোলা পায়খানা স্থাপন করবেন না। এসব কার্যকলাপ পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ।এশহর আমার-আপনার সবার। শহরকে পরিচ্ছন্ন আবর্জনা মুক্ত, পরিবেশবান্ধব মানবিক শহরে পরিণত করতে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।
এসময় তিনি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রমের ক্র্যাশ প্রোগামের প্রথম ১০দিন নগরবাসীকে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে নিজ বাড়ির আঙ্গিনা, আশ-পাশ, ডোবা পরিষ্কার রাখতে সচেতন করে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে বলে জানান। এরপর যদি এই প্রচার-প্রচারণায় কাজ না হয়, তাহলে কর্পোরেশনের উদ্যোগে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসক এলাকার স্থানীয় যারা ঘর ভাড়া দিয়েছেন তাদের নিজ এলাকা পরিষ্কার রাখতে উদ্যোগী হওয়ারও আহবান জানান। ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে থলেতে ভরে নির্দিষ্ট সময়ে কর্পোরেশনের সেবকদের কাছে জমা করতে বলেন।
তিনি ডেঙ্গু থেকে রাক্ষা পেতে এডিশ মশার প্রজনন স্থান ধ্বংসে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এডিশ মশা স্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, ডাবের খোষা, রেফ্রিজারেটরের ট্রেতে জমে থাকা পানিতে বংশ বিস্তার করে। তাই এগুলোতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিজ্ঞপ্তি
এ মুহূর্তের সংবাদ