সুপ্রভাত ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান চৌধুরীর মতো ত্যাগী নেতা বর্তমান সমাজের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের বেশি সভাপতির দায়িত্বে থাকার পরও নির্লোভ এই নেতার চল্লিশ বছর আগের টিনের চালার ঘর বদলায়নি। গত ১২ বছরে দেশে অনেক ইমারত নির্মাণ হলেও চল্লিশ বছর আগে যেটা ছিল সেটা এখনো আছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান চৌধুরীর জানাযা পূর্ব স্মৃতিচারণে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মরহুম খলিলুর রহমান চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর কর্মী ছিলেন, ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। শ্রমিক নেতা হিসেবেও কাজ করেছেন দলের জন্য, একজন ত্যাগী এবং জীবনে কোন লোভ লালসা তাঁর মধ্যে ছিল না। আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন মুরুব্বিকে হারিয়েছি। আমরা এমন একজন মুরুব্বিকে হারালাম যার কাছে সমস্ত দল-মতের মানুষ যেতে পারতেন।
তিনি বলেন, আমাদের দল জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমস্ত ঝড়-ঝাপটা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে আছে তৃণমূলে খলিলূর রহমান চৌধুরীর মতো নেতাদের কারণে। জনগণের আস্থাশীল এবং ভরসাস্থল দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে যুগ যুগ ধরে জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
প্রয়াত নেতা খলিলুর রহমান চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি এমন একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় এবং গ্রহণযোগ্য মুরুব্বি ছিলেন, যার কারণে বিগত উপজেলা নির্বাচনে কেউ তার সাথে দাঁড়াননি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শাহজাহান সিকদার, জেলা পরিষদের সদস্য কামরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসন খাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক মরহুমের সন্তান আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসীম উদ্দিন তালুকদার প্রমূ