সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
২০০২ বিশ্বকাপে সবাইকে চমকে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছিল সেবারের স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়া (সহ-আয়োজক ছিল জাপান)। এশিয়ার প্রথম কোনো দল হিসেবে অমন সফলতা পাওয়া ওই দলটির অন্যতম সদস্য ইউ সাং-চুল ৪৯ বছর বয়সে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে পোল্যান্ডকে ০-২ গোলে হারিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম জয় তুলে নিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। ওই ম্যাচে গোল করে কোরিয়ানদের কাছে মহানায়ক বনে যান সাং-চুল। দক্ষিণ কোরিয়ার জার্সিতে ১২৪ ম্যাচ খেলা এই তারকা ফুটবলার জাতীয় দলের ক্যারিয়ারে ১৮টি গোল করেছিলেন। সেবার পর্তুগাল, ইতালি এবং স্পেনের মতো জায়ান্টদের হারিয়ে ইউরোপ এবং আমেরিকার বাইরে থেকে প্রথম এবং একমাত্র দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। সেমিফাইনালে অবশ্য জার্মানির কাছে ০-১ গোলে হারে আসরের অন্যতম স্বাগতিকরা। এরপর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে তারা হেরে যায় তুরস্কের কাছে। ফিফার সর্বোচ্চ আসরে এশিয়ান কোনো দল হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছানোই সেরা পারফরম্যান্স। ওই আসরে নিজের বৈচিত্রপূর্ণ পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কাড়েন ইউ। দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপে ৭টি ম্যাচেই অংশ নেওয়ায় ওই আসরের অল-স্টার দলেও জায়গা করে নেন তিনি। ক্লাব ফুটবলে ইউ জাপানের ইয়োকোহামা এফ. মারিনোস এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উলসান হোরাঙ্গির হয়ে লিগ শিরোপা জিতেছেন। ২০০৫ সালে ফুটবলকে বিদায় বলার পর ইউ কোরিয়ার কে’লিগে ডিওন সিটিজেনের কোচ হিসেবে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ইউ সাং-চুলের দেহে ক্যানসারের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। তবে তারপরও তিনি ইনচিওনের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তার অধীনে দলটি দ্বিতীয় বিভাগ থেকে রেলিগেশনও এড়িয়েছে। ইউ ছিলেন কে-লিগের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় যিনি মৌসুম সেরা একাদশে একাধারে একজন ফরোয়ার্ড, একজন মিডফিল্ডার এবং একজন ডিফেন্ডার হিসেবে জায়গা পেয়েছিলেন। খবর বাংলানিউজের।
লিউ’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিবৃতি প্রকাশ করেছে কোরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া তার সাবেক ক্লাব ও জাতীয় দলের সতীর্থরা শোক প্রকাশ করেছেন।