সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
করোনাতঙ্ক কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমেও পিছু ছাড়লো না ব্যর্থতা। সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। নাহলে কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনালে পেনাল্টি মিস, ফাইনালে হার, পরপর ব্যর্থতা সঙ্গী হয়! বুধবার রাতে অনেকেই পুরনো রোনালদোকে খুঁজছিলেন মাঠে। সেই ক্ষিপ্রতা, সেই অদম্য জেদ। হার না মানা শরীরী ভাষা। কিন্তু কোথায় কী? কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে নাপোলির কাছে টাইব্রেকারে হেরে গেল জুভেন্টাস। ৪-২ গোলে জিতে চলতি বছরের কোপা ইতালিয়া জিতে নিল প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার গাত্তুসোর নাপোলি। আর রোনালদোর ভাগে পড়ে রইল শুধুই একরাশ হতাশা।
তিন মাস পর মাঠে নেমেছিলেন রোনালদো। অনুশীলনে সবচেয়ে ফিট ছিলেন জুভেন্টাসের তারকা ফুটবলার। কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে বরাবরই জ্বলে ওঠেন তিনি। রিয়ালের হয়ে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ম্যাঞ্চেস্টারের হয়ে, পর্তুগালের জার্সিতে ইউরো কাপ, ইউরোপা নেশন লিগ জয়। এত সাফল্য থাকতেও বুধবার রাতে কী হল কে জানে! একের পর এক গোল নষ্ট করলেন রোনালদো ও দিবালা জুটি। গোটা ম্যাচে তিনটে চান্স পেয়েছিলেন, গোলে রাখতে পেরেছিলেন মাত্র একটি। টাইব্রেকারে জুভেন্টাসের হয়ে পেনাল্টি মিস করেন দিবালা ও ডানিলো। ভাগ্যের মারে পেনাল্টি মারার সুযোগই পেলেন না সিআর সেভেন। তার আগেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় নাপোলির।
এদিকে নাপোলির কোচ হিসাবে প্রথম ট্রফি জিতলেন ইতালির কিংবদন্তী ফুটবলার জেনারো গাত্তুসো। ২০১৪ সালের পর কোপা ইতালিয়া জিতল আরেক কিংবদন্তী ডিয়েগো মারাদোনার প্রাক্তন ক্লাব নাপোলি। এই নিয়ে ছ’বার চ্যাম্পিয়ন হল তারা। অন্যদিকে জুভেন্টাসের জার্সি পরে যেন গ্রহণ লেগেছে রোনালদোর কেরিয়ারে। এই প্রথম পরপর দুটো ক্লাব টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারলেন তিনি। গত ডিসেম্বরে লাজিওর কাছে সুপারকোপা ইতালিয়ানার ফাইনালে হারে জুভেন্টাস। এবার কোপা ইতালিয়ায় হার। পরপর ব্যর্থতা কি রোনালদোর শেষের শুরুর ইঙ্গিত? এমনটাই বলছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আরেক ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি কিন্তু মাঠে ফিরেই গোল করে চলেছেন। যা আরও উদ্বেগ বাড়াবে পর্তুগিজ মহাতারকার, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
খেলা