সুপ্রভাত ডেস্ক »
কোটার যৌক্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কার এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কী ভাবছেন, তারা কী চাইছেন জানতে ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে মিট দ্য প্রেসে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে গেছে। কিন্তু একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আন্দোলন জারি রেখে ব্লকেড ব্লকেড খেলছে। প্রথমে তারা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবি করেছে, পরে কমিশন গঠনের কথা বলেছে, এখন ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে এসে বলছে জাতীয় সংসদে আইন পাশের কথা। এখানে কোনও সাধারণ শিক্ষার্থী নেই, বর্তমানে এই আন্দোলন বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতির অংশ।’
এ সময় তিনি ৪৩তম বিসিএসের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, ‘৪৩তম বিসিএসে প্রায় পাঁচ লাখ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র পনের হাজার লিখিত পরীক্ষার জন্য উন্নীত হয়েছে। তারা কি মেধাবী নয়? শুধু তাই নয় সেখান থেকে ভাইভা গিয়ে পাশ করে তিন হাজার ১৬১ জন। তারপর যখন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হয়, তারা কী মেধাবী নয়? বর্তমানে ‘কোটা না মেধা’ স্লোগানের নামে একটি মেধাহীন বিতর্ক আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এই প্রফেশনাল আন্দোলনকারীরা। আজ নারী কোটার বিরোধীতা করে নারীদের তারা সমাজে আমাদের প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে।’
সাদ্দাম বলেন, ‘চলমান দাবির যৌক্তিক সমাধান করতে বলছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আমরা একটি যৌক্তিক সুরাহা চাই, অন্তর্ভুক্তিমূলক সুরাহা চাই। আর যারা অযৌক্তিকভাবে আন্দোলনের নামে দেশে নৈরাজ্য তৈরি করতে চায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হুঁশিয়ার জারি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ সোচ্চার রয়েছে। আমরা মক জাস্টিস নয় বা স্পট ডিসিশন নয় বরং পলিসি অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে যৌক্তিক সমাধান চাই।’
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, ‘আমরা একটি ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নিয়েছি। যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর হলে হলে শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে তাদের সঠিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবো। কোটা ইস্যুর যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত সমাধানের লক্ষ্যে ঘোলা পানিতে কেউ যেন মাছ শিকার করতে না পারে সে জন্য সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন সঠিক তথ্য-উপাত্ত লিফলেট আকারে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরবো। কারণ তারা যেন ভুল পথে পা না বাড়ান, কোনও ষড়যন্ত্রে নিজেদের ভবিষ্যৎ জীবন বিনষ্ট না করেন।’
ছাত্রলীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘এ দেশ আমাদের, শিক্ষার্থীদের বিষয়টি মাথায় রেখে চলতে হবে। সাধারণ মানুষের প্রতি তাদের যে দায়বদ্ধতা সেটি যেন তারা পালন করেন। যারা শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে ভর দিয়ে ষড়যন্ত্র করে এ দেশের অগ্রযাত্রা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে, সেই ধরনের লোকদের এ আন্দোলনে সম্পৃক্ততা আমাদের উদ্বিগ্ন করে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে কেউ দেশের শান্ত পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে ফলাফল ভালো হবে না।’