কোটা আন্দোলনে সহিংসতার অপরাধে নগরীতে গ্রেপ্তার আরও ৪১

১০ দিনে চট্টগ্রামে ৮০৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা এলাকায় মিছিল ও ভাঙচুরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মো. ইসমাইল চৌধুরীকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: বিডিনিউজ

সুপ্রভাত ডেস্ক »

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নাশকতার অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরী থেকে ৪১ জন এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে ২৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মামলায় গত ১০ দিনে চট্টগ্রামে মোট ৮০৩ জন গ্রেপ্তার হলেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সবমিলিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর ১৮টি মামলায় ৪৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ২৭ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন। এ নিয়ে মহানগরের বাইরে জেলায় মোট ৩৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

নগরীতে সবশেষ মামলাটি করা হয় বৃহস্পতিবার। এতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল হক সুমনসহ ৩১ জন ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করার হয় বলে ডবলমুরিং থানার ওসি ফজলুল কাদের পাটোয়ারী জানান।

মামলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “বুধবার রাতে ডিটি রোড এলাকায় বায়তুশ শরফ মাদ্রাসার কাছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন জড়ো হয়ে মিছিলের চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ ধাওয়া করলে তারা গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে।”

এর বাইরে গত ১৯ জুলাই নগরীর আন্দরকিল্লা থেকে লালদিঘী এলাকা পর্যন্ত মিছিল ও তাণ্ডবে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া মো. ইসমাইল চৌধুরী (৪৬) ‘জামায়াতে ইসলামীর সদস্য’ বলে পুলিশের ভাষ্য।

কোতয়ালি থানার ওসি কেএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাকলিয়া এলাকা থেকে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্দরকিল্লা এলাকায় নাশকতার ঘটনায় বিভিন্ন ছবি ও ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। তার মোবাইলেও ‘নাশকতার অনেক আলামত’ পাওয়া গেছে।

কোতয়ালি থানার একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, আন্দরকিল্লা এলাকায় মিছিল থেকে ‘বিভিন্ন ধরনের উসকানি দিয়েছিলেন’ ইসমাইল। নিজেকে তিনি চট্টগ্রামের একটি ‘পত্রিকার কর্মকর্তা’ পরিচয় দিতেন।

এছাড়া শুক্রবার দুপুরে আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুর রহমান বাবুকেও আটক করা হয়। তার বাড়ি মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নে।

আন্দরকিল্লা এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, বেলা ২টার দিকে আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের সামনে তারিকুরকে দাঁড়াতে বলেন দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা। তারিকুর পুলিশের কথা না শুনে দৌড়ে মসজিদের ভেতর চলে যান। পরে মসজিদ থেকে বের হয়ে আসার সময় তাকে আটক করে পুলিশ।