সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
প্রায় শেষের পথে চলে এসেছে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ। এই টুর্নামেন্টে সর্বনিম্ন স্তর তথা ডি গ্রেডের ক্রিকেটাররা পাচ্ছেন ৪ লাখ টাকা। অথচ দলের হেড কোচদের পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে মাত্র ৩ লাখ টাকা। এতে লজ্জিত বোধ করছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দেশের সবচেয়ে সফল কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
বিপিএলে দুইবার শিরোপা এনে দেয়া সালাউদ্দিন বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কোচ হিসেবে কাজ করছেন। টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ ক্রিকেট খেলে তার দল উঠেছে ফাইনালে। এখন আরেকটি টি-২০ টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের হাতছানি তার সামনে। তবে এমন সময়েই শোনালেন আক্ষেপের কথা। দাবি জানালেন কোচদের যথাযথ মূল্যায়নের।
এ ব্যাপারে সালাউদ্দিন বলেন, এদেশে কোচদের কোনো মূল্যায়ন হয় কি না, আমি জানি না। দেখেন, আমরা মনে হয় ই গ্রেডের মানুষ। ডি গ্রেডের একটা খেলোয়াড় যা পাচ্ছে, একটা কোচও কিন্তু তা পাচ্ছে না। তাহলে কেনো আমি আরেকটা কোচকে বলবো তুমি এই পেশায় আসো?
তিনি আরো বলেন, আমরা ই গ্রেডের ধরলে সহকারী কোচরা হয়তো এফ গ্রেডের মানুষ। ট্রেনাররা জি, এইচ অথবা এমন হবে আর কি। আমার মনে হয় সবার সঠিক মূল্যায়ন করা উচিত। আমাদের কোচদের ঠিকভাবে মূল্যায়ন না করার মানে হচ্ছে দলের প্রতি আমাদের কোনো প্রভাব নাই।
কোচ হিসেবে গাজী গ্রুপের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় সালাউদ্দিনকে বিসিবির পারিশ্রমিক নিতে হচ্ছে না। তবে দেশের সব কোচদের সেই অবস্থা নেই। স্থানীয় কোচদের অবমূল্যায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এখানে কোনো পারিশ্রমিক নিচ্ছি না। গাজী গ্রুপে তো আমি জব করি। কিন্তু কোচদের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে আমি খুব লজ্জিত।
হতাশা প্রকাশ করে দেশের অন্যতম সেরা এই কোচ যোগ করেন, আমি সারাজীবনই চেয়েছি বাংলাদেশে যেন কোচেরা উঠে আসে। আরো খেলোয়াড় এই পেশায় আসুক। আর এটাই চাই, তারা যেন একটা ভালো স্ট্যাটাস নিয়ে বাঁচতে পারে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এ ধরনের পারিশ্রমিকে আমি কখনই কোনো ছেলেকে বলবো না যে তোমরা কোচিংয়ে আসো। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
খেলা