মো. নাছির উদ্দিন অনিক, সীতাকুণ্ড »
চট্টগ্রাম-৪ আসনের নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন, তার জল্পনা কল্পনার সমাপ্তি হচ্ছে আজ (শনিবার)। চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নির্বাচিত করার নির্ধারিত দিনে তাই এই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মাঝে আশা নিরাশার মাঝে বিরাজ করছে উৎকণ্ঠা, উদ্বিগ্নতা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার প্রকাশের আগ থেকেই চট্টগ্রাম ০৪ আসনের আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়েছিল। এই দৌঁড়ঝাপের ফল আনতে সীতাকু-ের নেতৃত্বস্থানীয় নেতা কর্মীরা তাদের মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন এক সপ্তাহ ধরে। নিজেদের প্রার্থী মনোনয়ন পাবেন এই আশা নিয়ে বসে না থেকে স্ব-স্ব প্রার্থীকে নিয়ে প্রত্যেকেই নৌকা প্রতীক পেতে দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলছেন। সবাই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দেওয়ার পর থেকেই ঢাকাতেই দলীয় হাই কমান্ডের কাছে ধর্ণা দিতে গিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
এই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৮জন। তাঁরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ত্রাণ উপ কমিটির উপদেষ্টা সিমনি গ্রুপের পরিচালক লায়ন মোহাম্মদ ইমরান, চট্টগ্রাম আদালতের মহানগর সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলীর কাউন্সিল ডক্টর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সীমা গ্রুপের পরিচালক পারভেজ হোসেন সান্টু, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বারিস্টার চৌধুরী জিন্নাত আলী। এরা সবাই মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী, তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এলাকায় আওয়ামী লীগের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ শুরু হলেও সাধারণ জনগণের মাঝে শুধু কৌতুহল কে হবে অত্র এলাকার নৌকার মাঝি। ৮জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও দিদারুল আলম, বাকের ভুঁইয়া ও এস এম মামুন এই ৩জনকে ঘিরেই বেশি আলোচনা। যোগ্যতা ও দলে অবদানের ক্ষেত্রে এরা কেউ কারো থেকে কম নয়। তবে এই তিনজনের বাইরে কাউকে মনোনয়ন দেয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন নেতা কর্মীরাও। কারণ ১৪ সালের নির্বাচনে যাদেরকে নিয়ে নির্বাচনী ভাবনা চিন্তা ছিল তাদের কেউ মনোনয়ন পায়নি, এবারেও এমন ঘটলে আশ্চর্য হবার কিছু নেই বলে জানান অনেক নেতা কর্মী।