জাহিদ হাসান হৃদয়, আনোয়ারা »
সড়কজুড়ে গাছে গাছে ফুটছে ফুল। চারপাশটা যেন ফুলে ফুলে ভরে গেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কৃষ্ণচূড়ার মনকাড়া গাছ। সবুজ চিকন পাতা। ফাঁকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। দেখলেই যেন চাখ জুড়িয়ে যায়। আনোয়ারা উপজেলায় সিইউএফএল রাঙ্গাদিয়া সড়কের চিত্রটি এমনই।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রাঙ্গাদিয়ায় অবস্থিত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) সড়কের এক কিলোমিটার জুড়ে সড়কের এক পাশে বেড়ে ওঠেছে কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছ। গাছের ডালে ডালে কচি কচি সবুজ পাতার সমারোহ। এরই মধ্যে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম আভা। লাল-সবুজে একাকার হয়ে থাকা জায়গাটা অপরূপ হয়ে উঠেছে। ভ্রমণ পিপাসুরা দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
এখানে ঘুরতে আসা রতন কান্তি দাশ বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে সিইউএফএল রাঙ্গাদিয়া লাল কৃষ্ণচূড়ার ফুলের সৌন্দর্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পেয়ে কৃষ্ণচূড়ার ফুলের সৌন্দর্য দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। তাই চলে আসা।
চাঁদনি আক্তার নামের আরেক দর্শনার্থী বলেন, আমরা শহরে থাকি। ছুটির দিনে তাই পারকি সৈকতে আসা। তবে যাওয়ার পথে এই সড়কে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য দেখে এখানে না থেমে পারলাম না।
কাউসার নেওয়াজ নামের এক যুবক বলেন, আমরা একটু পাশেই থাকি। প্রায় বিকেলে এই রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করি। খুব সুন্দর লাগে এই মৌসুমে রাস্তাটি দিয়ে বিকেলে হাঁটতে। তবে অনেককে ফুল ছিঁড়তে দেখে খুব খারাপ লাগে।
দুই মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে আসা শামসুল ইসলাম বলেন, কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য খুবই ভালো লাগে। আসলেই প্রকৃতির রূপ সৌন্দর্য বর্ণনা করা অসম্ভব।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষকের কার্যালয়ের উপ বন সংরক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে অন্যান্য ফলফলাদির মতো এই কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলো ফুটে। বিভিন্ন রাস্তার পাশে শুষ্ক জায়গায় মূলত গাছগুলো বেড়ে উঠে। এটার আদি নিবাস আফ্রিকায়। বাংলাদেশের মতো বিভিন্ন দেশে ফুলগুলো জন্মে। গ্রীষ্মের শুরুতে এই ফুলগুলো ফুটে এবং বর্ষায় এগুলো ঝরে যায়।
জানা যায়, কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কার। ক্যারাবিয়ান অঞ্চল, আফ্রিকা, হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে এটি জন্মে।