সুপ্রভাত ডেস্ক »
কুমিল্লার মুরাদনগরের প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ এবং তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনার মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া, ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পাঁচকিত্তা গ্রামের পূর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে ফজর আলী (ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত) এবং ভিডিও ধারণকারী অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু। সবাই মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে গত শুক্রবার (২৭ জুন) ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ফজর আলীকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান জানান, এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। পরে পুলিশ অভিযানে নেমে তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় মূল আসামি ফজর আলীকে রোববার ভোর ৫টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে হোমনা থেকে মুরাদনগরে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসা এক নারীকে পাঁচকিত্তা গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে ফজর আলী কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ধর্ষণ করেন। ঘটনার সময় আশপাশের কয়েকজন লোক ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে ভিডিও ধারণ করে এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় আলাদা একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।